ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আজ, আসনপ্রতি লড়বেন ৫৮ জন

ঢাবি প্রতিবেদক

ভর্তি পরীক্ষা
ভর্তি পরীক্ষা। ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আজ (শনিবার)। শনিবার (১১ জুন) বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাতটি বিভাগীয় পর্যায়ের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনে পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন করবেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ‘ঘ’ ইউনিটে মোট আসন রয়েছে ১ হাজার ৩৩৬টি। এর বিপরীতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করেছেন ৭৮ হাজার ২৯ জন। সে হিসেবে আসনপ্রতি লড়বে ৫৮ জন ভর্তিচ্ছু।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাড়াও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি), বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে, গত শুক্রবার (৩ জুন) ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত ‘গ’ ইউনিটের মাধ্যমে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার মধ্যদিয়ে এবারে ভর্তিযুদ্ধ শুরু হয়। এরপর শনিবার (৪ জুন) ‘খ’ ইউনিটের পরীক্ষ এবং ১০ জুন ‘ক’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়া ১৭ জুন চারুকলা অনুষদভুক্ত ‘চ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা (সাধারণ জ্ঞান) বেলা ১১টা থেকে ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

গতকাল কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে পরীক্ষা চলাকালীন অভিভাবকদের ‌ক্যাম্পাসে ভিড় না করার অনুরোধ জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের নিজেদের মতো করে বড় হতে দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। তাদের (পরীক্ষার্থী) সবার বয়স আঠারো বছর, তারা প্রত্যেকেই খুবই বুদ্ধিমান এবং দক্ষতাসম্পন্ন। দেশেরে সমাজ, মানুষ জাতি, সংস্কৃতির সঙ্গে তাদের নানাভাবে পরিচয় ঘটুক। এতে করে তারা দক্ষ গ্র্যাজুয়েট হওয়ার জন্য শক্তি পাবে।

তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা দেশকে চিনুক, মানুষের সঙ্গে মিশুক। এই মিথষ্ক্রিয়া প্রয়োজন আছে। এটি যখন যে নিজে থেকে করবে তখন তার দক্ষতা, মনোবল ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাবে। সুতরাং শিক্ষার্থীদের সবসময় ‌অভিভাবকদের চামচ দিয়ে খাইয়ে দেওয়ার দরকার নেই। এখন যেহেতু তাদের বয়স হয়েছে সেহেতু তাদের সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য নিজেদের মতো কাজ করলে তাদের সাবলম্বী হওয়ার পথ তৈরি হবে।

শেয়ার করুন