উৎসে কর ০.৫% বহাল রাখার দাবি বিজিএমইএ’র

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিজিএমইএ
সংগৃহীত ছবি

করোনার কারণে তৈরি পোশাক খাতে তেমন কোনো কর্মসংস্থান তৈরি হয়নি। আবার রেমিট্যান্সে মন্দাভাব ও আমদানি ঊর্ধ্বগতি কারণে ব্যালেন্স অব পেমেন্টে চাপ তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের সর্ববৃহৎ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী পোশাক শিল্পের অগ্রযাত্রা মসৃণ রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে কর শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ আগামী ৫ বছর পর্যন্ত বহাল রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। সংস্থাটি বলছে, এতে শিল্প টিকে থাকবে, রাজস্ব আসবে ও আরও নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে।

সোমবার (১৩ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে পোশাক খাতের সমসাময়িক পরিস্থিতি ও প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রতিক্রিয়া নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এসব দাবি জানায় বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।

প্রস্তাবিত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেটে পোশাক খাতসহ রপ্তানি খাতের উৎসে করহার দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে এক শতাংশ করার প্রস্তাব দেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, প্রায় দুই বছরে করোনার কারণে যেখানে আমাদের তেমন কোনো কর্মসংস্থান তৈরি হয়নি। সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের রেমিট্যান্সে মন্দাভাব ও আমদানি ঊর্ধ্বগতির কারণে ব্যালেন্স অব পেমেন্টে চাপ তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সর্ববৃহৎ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত, পোশাক শিল্পের অগ্রযাত্রা যেকোনোভাবেই হোক মসৃণ রাখা জরুরি।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, শিল্পের কাঁচামাল সংগ্রহ, কন্টেইনার ভাড়া বাড়ানো, ডিজেলে মূল্য বৃদ্ধিসহ সামগ্রিক উৎপাদন খরচ বিগত ৫ বছরে গড়ে প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে। আর সম্প্রতি গ্যাসের মূল্য বাড়ার ফলে উৎপাদন খরচ আরও বেড়েছে। আবার ডলারের বিপরীতে ইউরো যেভাবে মান হারাচ্ছে, তাতে করে চলতি বছরের শেষ নাগাদ ইউরো ও ডলারের মূল্য সমান পর্যায়ে চলে আসতে পারে। অর্থাৎ এক ইউরো দিয়ে এক ডলার পাওয়া যাবে। ফলে ইউরোপের বাজারে আমাদের পণ্যের মূল্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়টা অস্বাভাবিক নয়।

তিনি বলেন, আমাদের একান্ত অনুরোধ, রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে কর শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ আগামী ৫ বছর পর্যন্ত কার্যকর রাখলে শিল্পটি বর্তমান সংকটকালীন স্বস্তিতে থাকবে। শিল্প টিকে থাকলে রাজস্ব আসবে, নতুন নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে। সেই সঙ্গে আমরা নন-কটন খাতে বিনিয়োগ ও রপ্তানি উৎসাহিত করতে, নন-কটন পোশাক রপ্তানির ওপর ১০ শতাংশ হারে বিশেষ প্রণোদনা প্রদানের জন্য অনুরোধ করছি। আমাদের মোট পোশাক রপ্তানির প্রায় ৭৪ শতাংশ কটনের তৈরি, যেখানে বিশ্বের মোট টেক্সটাইল কনজাম্পশনে কটনের শেয়ার মাত্র ২৫ শতাংশ। বর্তমান বিশ্বে ক্রমাগত জীবনযাত্রার পরিবর্তন এবং টেকসই ও পরিবেশবান্ধব পোশাকের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে নন-কটন পণ্যের চাহিদা বাড়ছে

শেয়ার করুন