মালয়েশিয়ায় কর্মী হিসেবে গমনেচ্ছুদের জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জেলা কর্মসংস্থান অফিস কিংবা অনলাইনে ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপের মাধ্যমে এই নিবন্ধন করা যাবে।
রোববার (১২ জুন) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বিএমইটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মালয়েশিয়ায় গমনেচ্ছু কর্মীদের বিএমইটি’র ডাটাবেজে নিবন্ধন বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন অনুযায়ী, বিএমইটি ডাটাবেজে নিবন্ধিত কর্মীর তালিকা থেকে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে দৈবচয়নের ভিত্তিতে কর্মী নির্বাচন করার বিধান রয়েছে। সেই অনুযায়ী, মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু কর্মীদের বিএমইটি ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার অনুরোধ করা যাচ্ছে।
নিবন্ধনের পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএমইটি’র আওতাধীন সব জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস (ডিইএমও) অথবা নির্ধারিত কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (টিটিসি) সরাসরি উপস্থিত হয়ে নিবন্ধন করা যাবে। প্রতিটি সফল নিবন্ধনের জন্য ২০০ টাকা সরকারি ফি (অফেরৎযোগ্য) পরিশোধ করতে হবে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যের জন্য নিকটস্থ জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস (ডিইএমও) বা টিটিসি’র সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। এছাড়া ডাটাবেজে নিবন্ধনের জন্য ঐচ্ছিক ও অতিরিক্ত চ্যানেল হিসেবে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপ ব্যবহার করে নিবন্ধন করা যাবে। এক্ষেত্রে সফল নিবন্ধনের জন্য সরকারি নিবন্ধন ফি ২০০ টাকার সঙ্গে অতিরিক্ত ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপের সার্ভিস চার্জ করসহ ১০০ টাকা পরিশোধ করতে হবে।
বিএমইটি জানায়, শর্ত হিসেবে কর্মীর বয়স ১৮-৪৫ বছরের মধ্যে হতে হবে। নিবন্ধন নম্বর ও এর কার্যকরিতা নিবন্ধনের তারিখ থেকে ২ বছর বহাল থাকবে। ইতোমধ্যে যারা বিদেশ গমনের জন্য নিবন্ধন করেছেন, তাদের নতুন করে নিবন্ধনের প্রয়োজন নেই। তবে নিবন্ধনকালে কাঙ্ক্ষিত দেশ ও পেশা নির্বাচন করা না থাকলে আপডেট করা যাবে।
কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) এবং ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি (আইএমটি), অথবা প্রতিষ্ঠান থেকে অর্জিত দক্ষতা সনদ আপলোড করলে দক্ষ কর্মীরা বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য অগ্রাধিকার পাবেন।
আবেদন করতে যেসব কাগজপত্র লাগবে: পাসপোর্ট, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, নিজের মোবাইল নম্বর, ইমেইল (যদি থাকে), দক্ষতা সনদ (যদি থাকে)।