প্রথম ইনিংসে ১০৩ রানে অলআউট হওয়া বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসেও ধুঁকছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের করা ২৬৫ রানই যেন টাইগারদের জন্য পাহাড়ের সমান রান। ১০০ রান তুলতেই সফরকারীরা হারিয়েছে ৫ টপ অর্ডার ব্যাটারকে। তবে সাকিব-সোহানের দৃঢ়তায় ইনিংস ব্যবধানে হার এড়িয়েছে টাইগাররা।
অ্যান্টিগা টেস্টে প্রথম ইনিংসের ব্যর্থতার ঘানি দ্বিতীয় ইনিংসেও টানতে পারছেন না টাইগার ব্যাটাররা। আগের দিন বিদায় নেয়া তামিম ইকবাল ও মেহেদী হাসান মিরাজের পথে তৃতীয় দিন শনিবার (১৮ জুন) প্রথম সেশনেই যোগ দিলেন আরও চার ব্যাটার।
তবে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহানের প্রতিরোধে ইনিংস পরাজয় এড়াতে সক্ষম হয়েছে টাইগার বাহিনী। সিলসের ওভারের শেষ বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সোহান ইনিংস ব্যবধানে হারের শঙ্কা কাটান।
এই রিপোর্ট লেখার সময় বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২১০ রান। সাকিব অপরাজিত ৫৩ রানে। সোহান ব্যাট করছেন ৪৯ রানে। বাংলাদেশের লিড ৪৮ রানের। সপ্তম উইকেটে সাকিব-সোহান মিলে জমা করেছেন ১০১ রান।
১৬২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। শুরুতে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল হাসান জয় লড়াইয়ে ফেরার আশা দেখালেও পরপর দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে ২ উইকেট হারিয়ে টাইগারদের স্কোরবোর্ডে যোগ হয় ৫০ রান।
আর শনিবার তৃতীয় দিনে দলের খাতায় ১৪ রান যোগ করতেই বিদায় নেন শান্ত। ইনিংসের ২৯তম ওভারে মায়ার্সের করা চতুর্থ বলে খোঁচা লাগিয়ে ক্যাচ তুলে দেন প্রথম স্লিপে থাকা জন ক্যাম্পবেলের হাতে। ৪৫ বল মোকাবিলায় ৩ বাউন্ডারিতে তার ব্যাট থেকে আসে ১৭ রান। এরপর এরপর ৩৫তম ওভারে এসে মায়ার্স এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মুমিনুল হককে। রিভিউ আবেদন করে লাভ হয়নি।
অফ স্টাম্পের বাইরের বলটি ইনসুইংয়ে হিট করে লেগ স্টাম্পে। আম্পায়ার কলের কারণে রিভিউ বাংলাদেশ ফেরত পেলেও দুর্ভাগ্যকে সঙ্গে নিয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় মুমিনুলকে। রান খরা যেন কাটছেই না সদ্য সাবেক এই অধিনায়কের। প্রথম ইনিংসের মতো আজও ফিরতে পারতেন শূন্য রানেই। ইনিংসের ৩৩তম ওভারে মায়ার্সের করা বলটি ব্যাটের কানায় লেগে স্টাম্প ঘেষে পেছনে চার হয়।
এরপর ক্রিজে এসে স্বাচ্ছন্দ্যেই ব্যাট করছিলেন লিটন দাস। তার ব্যাটে আশা দেখছিল বাংলাদেশ। তবে তিনি আশার আলো জ্বালানোর আগেই তা নিভে গেছে। স্লিপে ধরা পড়ে সাজঘরে ফিরেছেন কেমার রোচের করা অফ স্টাম্পের বলে খোঁচা দিয়ে। মাঠ ছাড়ার আগে ১৫ বল মোকাবিলায় ৩ বাউন্ডারিতে ১৭ রান করেছেন লিটন।
অন্যদিকে সেট হয়েই সাজঘরে ফিরেছেন মাহমুদুল হাসান জয়। তিনি লিটনের মতো একই ভুলের খেসারত দিয়েছেন। তার ক্ষেত্রেও শিকারি রোচ। ১৫৩ বল মোকাবিলায় ৩ বাউন্ডারিতে ৪২ রান আসে জয়ের ব্যাট থেকে।