আজ রোববার (১৯ জুন) বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের (জেসিসি) বৈঠক ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জেসিসির এটা সপ্তম রাউন্ডের বৈঠক। এতে পানি বণ্টন, বাণিজ্য ও নিরাপত্তা ইস্যুসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সার্বিক বিষয়ে আলোচনা হবে।
দুদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের নেতৃত্বে জেসিসি গঠিত। বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন শনিবার (১৮ জুন) দিল্লি পৌঁছেছেন। এতে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শংকর। দুদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠকে যৌথভাবে সভাপতিত্ব করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, পানি, বাণিজ্য, ডাম্পিং ইস্যু, নিরাপত্তা, খাদ্য নিরাপত্তাসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সব বিষয়ে আলোচনা করা হবে। এছাড়া বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফর নিয়েও আলোচনা হতে পারে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ায় দুদেশের মধ্যে নতুন আর্থিক সহযোগিতা চুক্তি চূড়ান্ত করা নিয়ে আলোচনা হবে। যাতে অদূর ভবিষ্যতে এ চুক্তি সই করা যায়। বাংলাদেশ দ্রুত তিস্তা চুক্তি সম্পন্ন করা এবং কুশিয়ারি ও ফেনী নদীর পানি বণ্টন নিয়ে সমাধান চাইবে। সেই সঙ্গে পাটের পর অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক প্রত্যাহার এবং কয়েকটি নতুন সীমান্ত হাট খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে।
ভারত-বাংলাদেশ-ভুটান ও নেপালের মধ্যে উপআঞ্চলিক সহযোগিতার বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়েও আলোচনা হবে। যাতে বাংলাদেশ নেপাল ও ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ পেতে পারে। ভারত সরকার ৫০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছেন প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সামগ্রী কেনার জন্য। এ বিষয়েও অগ্রগতি হতে পারে।
করোনাভাইরাস মহামারির পর এটা প্রথম সশরীরে উপস্থিতির মাধ্যমে জেসিসি বৈঠক। ২০২০ সালে ভার্চুয়ালি এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। করোনাভাইরাসের প্রেক্ষাপটে সহযোগিতা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, কানেকটিভিটি, জ্বালানি, পানিসম্পদ, উন্নয়ন অংশীদারত্ব এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সার্বিক বিষয় জেসিসি বৈঠকে পর্যালোচনা করা হবে।
অন্যদিকে তিনদিনের ভারত সফরের অংশ হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির (সিআইআই) যৌথ আয়োজনে ‘ইনটারেকটিভ বিজনেস মিটিং’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন।