মিয়ানমারে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে গণতন্ত্রপন্থিদের ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানায়, গত পাঁচ দিনের সংঘর্ষে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হাতে সেনাবাহিনীর অন্তত ৯০ সদস্য নিহত হয়েছেন। এ সময় সংঘর্ষে প্রাণ গেছে চার যোদ্ধারও।
রোববার স্থানীয় কয়েকটি প্রতিরোধ গোষ্ঠীর বরাতে হতাহতের এ খবর দিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম ইরাবতি।
মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলে স্থানীয় কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর শক্ত প্রতিরোধের মুখে আছে দেশটির সেনাবাহিনী। ইরাবতির খবরে বলা হয়, গত কয়েক দিনে সাগাইং ও ম্যাগওয়ে অঞ্চলে জান্তাবিরোধী বাহিনী পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ)-এর সঙ্গে সেনাবাহিনীর তীব্র লড়াই হয়েছে।
সাগাইং অঞ্চলের মাইনমুর একটি গ্রামের কাছে ১৬ জুন মেশিনগান সজ্জিত দুটি সামরিক যানবাহনে অতর্কিত হামলা চালায় তারা। এতে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটে। আরেক জায়গায় সামরিক বহরে হামলায় ২০ সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে পিপলস গেরিলা কমান্ডো (পিজিসি)। মাইন ব্যবহার করে এসব হামলা চালানো হয়।
এর আগে ১৫ জুন সকালে মনিওয়া-আয়ারদাউ হাইওয়েতে পিডিএফের অতর্কিত হামলায় সাত সেনা নিহত হন।
এ বিষয়ে পিডিএফ যোদ্ধা কো দাউং হমান বলেন, আমরা আমাদের জীবন রক্ষা, সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে এবং আমাদের জনগণের জন্য লড়াই করছি।
গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি সু চি সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখলে নেয় সেনাবাহিনী। গৃহবন্দি করা হয় দেশটির নেত্রী অং সান সু চিকে। এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে রাস্তায় নামেন লাখ লাখ বেসামরিক নাগরিক। তাদের শক্ত হাতে প্রতিহত করে জান্তা সরকার।
চলমান আন্দোলনে প্রাণ হারান কয়েক হাজার মানুষ। এর কিছু দিন পরই সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শুরু হয় সশস্ত্র আন্দোলন। ছোট ছোট সশস্ত্র গোষ্ঠী সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছে।