চার বছরের কম সময়ের মধ্যে পঞ্চম সাধারণ নির্বাচন আয়োজন করতে চলেছে ইসরায়েল। দেশটির নড়বড়ে জোট সরকার টিকে থাকতে পারবে না বলে নিশ্চিত হওয়ার পর এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যমান চুক্তির আওতায় বিকল্প প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটের স্থলাভিষিক্ত হবেন। অক্টোবরের শেষের দিকে নতুন নির্বাচন হতে পারে বলে রাজনৈতিক ভাষ্যকাররা বলছেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান বিরোধী দলীয় নেতা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রধানমন্ত্রী পদে ফেরার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন।
নাফতালি বেনেটের জোট সরকার পতনের দ্বারপ্রান্তে বলে কয়েক সপ্তাহের জল্পনা-কল্পনার পর সোমবারের ঘোষণা এল। বেনেট-লাপিদ সরকার ছিল ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে বিচিত্রধর্মী জোট।
নাফতালি বেনেটের নিজের ডানপন্থী ইয়ামিনা পার্টির একজন সদস্য জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কারণে আগামী সপ্তাহে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভোটে হারানোর ঝুঁকিতে পড়েছিল। ওই আইনপ্রণেতার পক্ষত্যাগে সরকার ১২০ আসনের পার্লামেন্টে (নেসেট) সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘জোটকে স্থিতিশীল করার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যাওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে, নেসেটের অনুমোদনের জন্য আগামী সপ্তাহে একটি বিল উত্থাপন করা হবে।
সোমবার (২০ জুন) রাতে সরকারের এ ঘোষণায় অন্য নেতারা বিস্মিত হয়েছেন। টাইমস অব ইসরায়েল একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বলেছে, প্রতিরক্ষা বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেউই এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানতেন না।
ইসরায়েলে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা নেতা কট্টরপন্থী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর এক বছরের কিছু বেশি সময় আগে এই দুই নেতা জোট গঠন করেছিলেন। জোটটি নানা রাজনৈতিক মতের আটটি দল নিয়ে গঠিত হয়েছিল। শুধুমাত্র নেতানিয়াহুর সরকারে আসা ঠেকাতেই এক জোট হয়েছিল তারা।
সূত্র: বিবিসি