দেশে কোরবানিযোগ্য পশু এক কোটি ২১ লাখ

নিজস্ব প্রতিবেদক

পশুর চিকিৎসায় থাকবে আড়াই হাজার মেডিকেল টিম
কোরবানিযোগ্য পশু। ফাইল ছবি

এবার দেশে কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা ১ কোটি ২১ লাখ ২৪ হাজার ৩৮৯টি, যা চাহিদার চেয়ে বেশি। পাশাপাশি কোরবানি উদযাপনে সরকারের পক্ষ থেকে পরিপূর্ণ প্রস্তুতি আছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বৃহস্পতিবার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর চাহিদা নিরূপণ, সরবরাহ ও অবাধ পরিবহন নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রী।

universel cardiac hospital

সভায় প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, এবার কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা এক কোটি ২১ লাখ ২৪ হাজার ৩৮৯টি।

কোরবানির হাটে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করা হবে উল্লেখ করে শ ম রেজাউল করিম বলেন, রোগাক্রান্ত পশু হাটে বিক্রি করতে দেওয়া হবে না। তাছাড়া ক্রেতা-বিক্রেতা কেউ যেন হয়রানির বা ক্ষতির শিকার না হয়, সেজন্য পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োগ করা হবে।

মন্ত্রী বলেন, বিগত বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও কোনো খামারি নিজ বাড়ি থেকে পশু বিক্রি করলে তাকে হাসিল দিতে হবে না। কোনো খামারি তার পশু দূরবর্তী হাটে নিতে চাইলে, রাস্তাঘাটে জোর করে নামাতে বাধ্য করা যাবে না। এক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় সরকারের ইউনিট তথা পৌরসভা, উপজেলা বা ইউনিয়ন পরিষদ, সিটি করপোরেশন এ বিষয়টি নিশ্চিত করবে।

কোরবানির পশুর জন্য এখন প্রতিবেশী দেশের ওপর নির্ভরশীল থাকতে হবে না উল্লেখ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, কোরবানির পশুর জন্য অন্যদের দিকে তাকিয়ে থাকতে হতো। বর্তমান বাংলাদেশে প্রাণিসম্পদ খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। এ খাতে আমাদের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। মাংসে আমরা এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ।

সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, মো. তৌফিকুল আরিফ ও এস এম ফেরদৌস আলম, বিভিন্ন বিভাগীয় কমিশনার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তরের উপপরিচালক মো. শেফাউল করিম, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা সভায় অংশ নেন।

শেয়ার করুন