‘পঁচাত্তরের পরে বঙ্গবন্ধুর দর্শনকে রক্ষা করার জন্য আমরা সচেষ্ট ছিলাম’

নিজস্ব প্রতিবেদক

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় অর্জন হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা। কিন্তু স্বাধীনতার পরে আন্তর্জাতিক সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠীর মোড়ল মার্কিনীদের নেতৃত্বে এ দেশীয় পাচাটা নরপিশাচেরা ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। তাদের দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলো কুলাঙ্গার খন্দকার মোশতাক আর সেনাবাহিনী থেকে জিয়াউর রহমান তাদেরকে প্রশ্রয় দিয়েছিলো। তারপর আমরা এক হতাশার মধ্যে পড়ে যাই। আমরা যারা ছাত্রকর্মী ছিলাম, তাদের মধ্যে মুষ্টিমেয় কয়েকজন সেদিন আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ এবং যুবলীগকে পুনর্গঠন করার জন্য দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে জেলায় জেলায় ঘুরেছি। এই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসে মহীয়সী নারী দিলারা হারুনের বাসায় আশ্রয় পেয়েছিলাম, সেসময় আর কেউ আশ্রয় দেয়নি।

২৩ জুন (বৃহস্পতিবার) আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মোকতাদির চৌধুরী বলেন, আমরা সেদিন খুব বড় সাফল্য অর্জন করতে পারিনি। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর দর্শন ও চেতনাকে রক্ষা করার জন্য আমরা সচেষ্ট ছিলাম। যার ফলশ্রুতিতে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দেশে ফিরে আসলেন তখন তাঁর পক্ষে পুরো সংগঠনকে একত্রিত করে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি চেষ্টা করলেন। কিন্তু সেখানেও বিরোধিতা আসলো; আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে সক্রিয় থাকা ডানপন্থী ও বামপন্থীদের পক্ষ থেকে বিরোধিতা আসলো। এসব বিরোধিতার ভিতর দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা মধ্যপন্থীদের নিয়ে সামনে এগিয়ে গিয়েছিলেন এবং আজকে যেই জয়জয়কার দেখছেন এগুলো তাঁর দৃঢ়তার কারণে, তাঁর একাগ্রতার কারণে এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি তাঁর নিষ্ঠাবান সমর্থনের কারণে সম্ভব হয়েছে।

শেয়ার করুন