দুর্যোগের সময় এতো আনুষ্ঠানিকতা না করলেও হতো : কাদের সিদ্দিকী

নিজস্ব প্রতিবেদক

বর্তমানে সারাদেশে চলমান বন্যা-দুর্যোগের সময় পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের আয়োজন এতো বড় না করলেও চলতো বলে মন্তব্য করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সমরনায়ক বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।

শনিবার (২৫ জুন) সকালে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া পয়েন্টে পদ্মা সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগদানের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।

universel cardiac hospital

কাদের সিদ্দিকী বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের আয়োজনে ত্রুটি রয়েছে। এতো টাকা খরচ না করলেও হতো। এ টাকা যদি সিলেট, নেত্রকোণা, হবিগঞ্জের মতো জায়গায় কাজ করতো তাহলে আরও ভালো হতো। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যদি সেখানে কাজ করতো আরও ভালো হতো।

এতো বাধা পেরিয়ে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করার বিষয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, কোনো কাজ থাকলে বাধা থাকবেই। বাধা অতিক্রম করে কাজ করার আনন্দ আছে। আজ এতোকিছুর পরে এই যে পদ্মা সেতু হয়েছে, এতে যেমন আমাদের অহংকার করার কিছু নেই, আবার সমালোচনা করারও কিছু নেই। যারা এর সমালোচনা করেছে তারাও ঠিক করেছে, যারা আশান্বিত হয়েছে তারাও ঠিক আছে বলে আমি মনে করি।

‘যারা বিশ্বাস করে নাই পদ্মা হবে তারা আজ সেতু দেখে বিশ্বাস করবে, তাই বলে তাদের তাদের মাটির তলে দিয়ে দেওয়ার কোনো মানে হয় না। আমরা কোনকিছুতেই মানুষকে অপমান করার চেষ্টা করি। এটা ঠিক না/মানুষ ভুল করেই। ভুল করলেই পৃথিবীতে থাকার অধিকার হারিয়ে ফেলছে এটা ঠিক না।’

এর আগে সকাল ১০টায় মুন্সীগঞ্জের মাওয়া পয়েন্টে পদ্মা সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও সুধীসামবেশে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের বৃহত্তম স্ব-অর্থায়ন করা এ মেগা প্রকল্পের জমকালো উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচির সময়সূচি অনুযায়ী মাওয়া পয়েন্টে বেলা ১১টায় তিনি স্মারক ডাক-টিকিট, স্যুভেনির শিট, উদ্বোধনী খাম এবং বিশেষ সিলমোহর উন্মোচন করবেন। বেলা ১১টা ১২ মিনিটে মাওয়া পয়েন্টে টোল পরিশোধের পর উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি সেখানে মোনাজাতেও অংশ নেবেন।

তিনি বেলা ১১টা ২৩ মিনিটে মাওয়া পয়েন্ট থেকে শরীয়তপুরের জাজিরা পয়েন্টের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবেন।

শেয়ার করুন