পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হওয়ায় আমরা আনন্দিত: বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর

মত ও পথ ডেস্ক

মার্সি টেম্বন

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হওয়ায় আনন্দ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বল। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জনগণ বিপুল সুবিধা পাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। আজ শনিবার পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

পদ্মা সেতু উদ্বোধন নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে মার্সি টেম্বল বলেন, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী। আমরা এ সেতুর গুরুত্ব স্বীকার করি। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জনগণ বিপুল অর্থনৈতিক সুবিধা পাবে।

universel cardiac hospital

মার্সি টেম্বল আরও বলেন, এ সেতুর মধ্য দিয়ে চাকরির ক্ষেত্র তৈরি হবে, যাত্রাপথে সময় কমবে, জনগণের আয় বাড়বে, বিনিয়োগের বাজার তৈরি হবে এবং জনগণের দারিদ্র্য কমানোর সম্ভাবনা তৈরি হবে।

মার্সি টেম্বল বলেন, এ সেতুর কাজ শেষ হওয়ায় আমরা আনন্দিত। খুশি লাগছে বাংলাদেশ এ সেতুর মধ্য দিয়ে লাভবান হবে। দীর্ঘদিনের সহযোগী হিসেবে আমরা নিবিড়ভাবে বাংলাদেশের পাশে আছি।

আজ দুপুর ১২টার দিকে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অপরাপর অংশের জন্য সংযোগ, যোগাযোগ ও সম্ভাবনার অনন্ত দুয়ার খুলে যায়।

এর আগে আজ সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে করে মাওয়া সমাবেশ স্থলে পৌঁছান। সেখানে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী সেতু নির্মাণে সাহস জোগানো বাংলাদেশের জনগণকে স্যালুট জানান।

২০১১ সালে এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়নের বিষয়ে বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), জাইকা ও ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) সঙ্গে ঋণচুক্তি সই করা হয়। পরে বিশ্বব্যাংক কথিত দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে অর্থায়ন বন্ধ করে। বাকি দাতা সংস্থাগুলোও পিছিয়ে যায়।

সেই সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে ঘোষণা করেন, বাংলাদেশ নিজেদের সামর্থ্যেই গড়ে তুলবে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। উন্নয়ন-সহযোগীদের জানিয়ে দেওয়া হয়, তাদের অর্থায়নের দরকার নেই। সেতুর মূল কাজ শুরু হয় ২০১৪ সালের শেষের দিকে।

শেয়ার করুন