ইউরোপের পর এবার লাতিন আমেরিকায়ও মাঙ্কিপক্স ছড়িয়ে পড়ছে। ইতোমধ্যে মহাদেশটির ছয়টি দেশে এ রোগে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে।
তুর্কিয়ের সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এ তথ্য জানায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, লাতিন আমেরিকার ছয়টি দেশে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত ৪৮ দেশে এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন তিন হাজার ২০০ জন।
শুক্রবার কলম্বিয়া জানিয়েছে, দেশটিতে প্রথমবারের মতো তিনজন মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন। যারা সবাই প্রাপ্তবয়স্ক ও ইউরোপ থেকে ঘুরে এসেছেন। তাদের দুইজন রাজধানী বগোতায় ও তৃতীয়জন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন মেডেল্লিনায়।
লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে আর্জেন্টিনায় মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত প্রথম রোগী পাওয়া যায়। এর পর মেক্সিকো, ব্রাজিল, ভেনেজুয়েলা এবং চিলিতে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে।
আর্জেন্টিনার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ২৭ মে দুই ব্যক্তি মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হন। এদের একজন আর্জেন্টিনার অন্যজন স্পেনের। তাদের এ রোগের উপসর্গ ছিল।
এর একদিন পর মেস্কিকো দেশটিতে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগী পাওয়ার কথা জানায়। দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, আক্রান্ত ওই ব্যক্তি নিউ ইয়র্কের বাসিন্দা, ‘যিনি সম্ভবত নেদারল্যান্ডসে আক্রান্ত হয়েছেন’।
এর পর ৯ জুন ব্রাজিল জানায়, সাও পাওলোর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া স্পেন ও পর্তুগাল সফর করা ৪১ বছর বয়সি এক ব্যক্তি এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
পরে ১৩ জুন ভেনেজুয়েলা সেদেশে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগী পাওয়ার কথা জানায়। যিনি এসেছিলেন স্পেন থেকে। ১৭ জুন চিলি জানায়, দেশে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, ওই যুবক সম্প্রতি ইউরোপ সফর করেছেন এবং যার এ রোগ সংক্রান্ত উপসর্গ দেখা দিয়েছিল।
এদিকে মাঙ্কিপক্স ছড়িয়ে পড়ার কারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করবে কিনা তা বিবেচনা করছে।
প্রাথমিকভাবে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হচ্ছেন সমকামীরা। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, আক্রান্তদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ থেকেও ছড়াতে পারে এ রোগ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে যতজন আক্রান্ত হওয়ার কথা বলা হচ্ছে প্রকৃত সংখ্যা তার চেয়েও বেশি হতে পারে। তাই সতর্ক থাকাটা জরুরি। ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেই চলেছে।