ব্যাটারদের ব্যর্থতায় আবারও পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ দল। অ্যান্টিগায় প্রথম ম্যাচে ইনিংস পরাজয় এড়ালেও, সেইন্ট লুসিয়ায় দ্বিতীয় ম্যাচে সেটিই চোখরাঙানি দিচ্ছে। মাত্র ৪ উইকেট হাতে নিয়ে ইনিংস পরাজয় এড়াতে আরও ৪২ রান করতে হবে সফরকারীদের।
ম্যাচের তৃতীয় দিন শেষে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৩২ রান। প্রথম ইনিংসে সাকিব আল হাসানের দল গুটিয়ে গিয়েছিল ২৩৪ রানে। পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪০৮ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়ে নেয় ১৭৪ রানের লিড। যা টপকানোই এখন বড় চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের সামনে।
১৭৪ রান পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামার পর তামিমদের কাছ থেকে যেটুকু ধৈর্য্য আশা করেছিল সবাই, তার ছিটেফোঁটাও দেখা যায়নি। বরং কেমার রোচের ইনসুইংগার-আউটসুইংগার বাছবিচার না করে শট খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি।
মাত্র ৮ বল খেলে ৪ রান করে দলীয় ৪ রানের মাথায় উইকেট বিলিয়ে দেন তামিম। এরপর নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে জুটি বাঁধেন মাহমুদুল হাসান জয়। কয়েকটি ভালো শট, কয়েকটি শঙ্কার শটও খেলেন তিনি। রোচকে ৭ম ওভারের দ্বিতীয় বলে বাউন্ডারি মারার পরের বলেই তার ইনসুইংগার বলটিকে ঠেকাতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লাগিয়ে বসেন।
বল চলে যায় থার্ডম্যানে জার্মেই ব্ল্যাকউডের হাতে। ১৩ রান করে আউট হয়ে যান জয়। দলীয় ৩২ রানের মাথায় কেমার রোচের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন এনামুল হক বিজয়। তার দুর্দান্ত ডেলিভারিতে হলেন এলবিডব্লিউ। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি আট বছর টেস্টে ফেরা বিজয়।
মাত্র ৪ রান করে আউট হন বিজয়। তিনি আউট হতে না হতেই নামে বৃষ্টি এবং খেলা বন্ধ হয়ে যায় এ সময়। বৃষ্টি থামার পর খেলা শুরু হলেও বদলায়নি বাংলাদেশের ভাগ্য। একপ্রান্তে নাজমুল শান্ত আশা দেখালেও হতাশ করেন সাকিব আল হাসান ও লিটন দাসরা।
বছরের শুরু থেকে দারুণ ফর্মে থাকা লিটন সাজঘরে ফিরে যান ১৬ রান করে, সাকিব থামেন ব্যক্তিগত ১৯ রানে। দারুণ খেলতে থেকে ফিফটি আশা জাগালেও শেষ পর্যন্ত আলগা শটে আউট ৪২ রান করা শান্ত। ওপরের সারির ছয় ব্যাটারকে হারিয়ে বিপদেই পড়ে গিয়েছে বাংলাদেশ।
আজ (সোমবার) ম্যাচের চতুর্থ দিন ইনিংস পরাজয় এড়ানোর মিশনে ব্যাটিং শুরু করবেন নুরুল হাসান সোহান ও মেহেদি হাসান মিরাজ। সোহান ১৪ বলে ১৬ রান করে অপরাজিত রয়েছেন। মিরাজ ১৩ বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি। এ দুজনেই জুটিতেই ইনিংস পরাজয় এড়ানোর আশা বাংলাদেশের।