আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মুকুল বোসের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
শনিবার (২ জুলাই) এক শোকবার্তায় তিনি মুকুল বোসের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শোকবার্তায় মোকতাদির চৌধুরী বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুকুল বোস ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ। তিনি ছিলেন আমার একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও ছাত্রলীগের সহকর্মী। স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে শুরু করে ‘৭৫’ পরবর্তী সকল আন্দোলন-সংগ্রামে আমরা একসঙ্গে নেতৃত্ব দিয়েছি। তাঁর মৃত্যুর সংবাদ আমাকে গভীরভাবে শোকাহত করেছে।
উল্লেখ্য, ভারতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজনশনিবার মারা গেছেন মুকুল বোস। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
১৬ মে ঢাকার রায়েরবাজারের বাসায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন মুকুল বোস। তাৎক্ষণিকভাবে মোহাম্মদপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। পরদিন সেখান থেকে স্কয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয় তাকে। তাঁর অবস্থার আরও অবনতি হলে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়৷
এর পরে ভারতে চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে নেওয়া হয় মুকুল বোসকে। সেখানেই শনিবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়।
আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান বলেন, “দীর্ঘ দিন ধরে তিনি (মুকুল) হার্ট, লিভার ও কিডনির জটিলতায় ভুগছিলেন।”
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বীর মুক্তিযোদ্ধা মুকুল বোসের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন।
২০০৭ সালে জরুরি অবস্থার সময় ওবায়দুল কাদের, সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে মুকুল বোসও ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
জরুরি অবস্থার অবসানের পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরলে ২০০৯ সালের সম্মেলনে বাদ পড়েন মুকুল বোস। ২০১২ সালের সম্মেলনেও ফিরতে পারেননি এই নেতা।
সর্বশেষ ২০১৬ সালে দলের ২০তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলে এর প্রায় আড়াই মাস পর ২০১৭ সালের ৮ জানুয়ারি তাকে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করেন সভাপতি শেখ হাসিনা।
এর পর ওই বছরের ৩১ জানুয়ারি মুকুল বোসকে দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মনোনীত করার কথা জানানো হয়।