প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ক্ষমতায় বসে নির্বাচনী ইশতেহারে দেয়া প্রতিশ্রুতি ভুলে যায়নি আওয়ামী লীগ।
রোববার (৩ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে মন্ত্রণালয় ও বিভাগসমূহের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর এবং এপিএ ও শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের উন্নয়নের পরিকল্পনা একেবারে তৃণমূল থেকে। আমরা এভাবে ভাবিনি যেন ধনীরা আরও ধনী হোক। আমি নিজে যাদের দেখেছি গায়ে কাপড় নেই। মনে হয় যেন একেকটা কঙ্কাল হাঁটছে। তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন করাটাই ছিল আমাদের লক্ষ্য।
সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের একটা কঠিন সময় গেল, সেটা করোনা মহামারি। এর মধ্যেই আবার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এর ফলে পুরো বিশ্বের অর্থনীতিতেই মন্দা সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের মতো দেশে এর প্রভাব আরও বেশি পড়েছে। তারপরও আমাদের মন্ত্রণালয় এবং প্রত্যেক কর্মচারীরসহ সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন বলে এ অবস্থা থেকেও আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের লক্ষ্যটা হচ্ছে, আমরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছি, সেটা আমরা বাস্তবায়ন করতে চাই। আমরা রাজনীতি করি, আমাদের দল আছে। আমি যখন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি, নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণা করি, যে ইশতেহারে আমরা এ দেশকে কীভাবে আর্থসামাজিকভাবে উন্নত করব, সে নির্দেশনায় একটা কর্মপরিকল্পনারই একটা কাঠামো থাকে। কাজেই আমরা আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় এসেছি, নির্বাচনী ইশতেহারটা ফেলে দেইনি। প্রতিবার বাজেট করার সময় সেটা অনুসরণ করেই পরিকল্পনা করি এবং কতটুকু আমরা সফল হতে পারলাম, কতটুকু বাকি আছে, সেটাও আমরা নির্দিষ্ট করি।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আমাদের দলেরও একটা ঘোষণাপত্র থাকে, গঠনতন্ত্র থাকে। সেখানেও আমাদের কতগুলো দিকনির্দেশনা থাকে। সেটা আমরা বাস্তবায়ন করি। এ ছাড়া আমাদের যখন দলের সম্মেলন হয়, সেখানেও আমরা সেগুলো পর্যালোচনা করি কতটুকু কাজ সম্পন্ন করতে পারলাম আর কতটুকু বাকি রইল বা আরও নতুন কী করা যায়। সেটাও আমরা প্রণয়ন করি এবং কাজ করি।
এ সময় তিনি আরও বলেন, উন্নত দেশগুলো দেয়নি, আমরা বিনা পয়সায় সবাইকে করোনা টেস্ট ও ভ্যাকসিন দিয়েছি। বুস্টার ডোজও দেয়া হচ্ছে। আমি আশা করি, সবাই এ ভ্যাকসিন নেবেন।
এ সময় মুজিববর্ষের গৃহনির্মাণ কর্মসূচির বাস্তবায়নের সঙ্গে জড়িতদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি।