ইউক্রেনের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর দখল করল রাশিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন
ছবি : ইন্টারনেট

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ চলছে পাঁচ মাস ধরে। এবার রাশিয়ার সেনাবাহিনী ও ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা দেশটির গুরুত্বপূর্ণ লিসিচানস্ক শহরের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। ইউক্রেনের সেনাবাহিনী এমন অভিযোগ করেছে। এর আগে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় রোববার (৩ জুলাই) শহরটি দখলের দাবি করে।

ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর জেনারেল স্টাফ জানিয়েছে যে, তীব্র লড়াই হয়েছে লিসিচানস্ক শহরে। তবে পরে তারা সেখান থেকে সেনাদের প্রত্যাহার করে নেয়।

এর আগে, রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগু বলেন, লিসিচানস্ক দখলের মধ্য দিয়ে পুরো লুহানস্ক অঞ্চল স্বাধীন হয়েছে। ইউক্রেনের সেনাদের সেখানে প্রতিহত করা হয়েছে।

যদিও ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফ বলেছে যে ইউক্রেনীয় যোদ্ধাদের জীবন রক্ষা করার জন্য, প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

এদিকে, প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে ইউক্রেনীয় বাহিনী তাদের কৌশল এবং আধুনিক অস্ত্র সরবরাহ বৃদ্ধি করবে। লিসিচানস্ক আবার নিয়ন্ত্রণে আসবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

অপরদিকে, দেশটির পশ্চিমে, ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রিত শহর স্লোভিয়ানস্কে গোলাগুলির মধ্যে পড়ে কমপক্ষে ছয়জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এটি ডোনেটস্ক অঞ্চলে, যা লুহানস্কের সঙ্গে সম্পৃক্ত, যেটি ডনবাস শিল্পাঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত।

ডনবাসের নিয়ন্ত্রণ মস্কোর জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর নিয়ন্ত্রণ নিলে ২০১৪ সালে রাশিয়ার দখলকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সঙ্গে করিডোর তৈরি সম্ভব হবে।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যখন ডনবাস বলেন, তখন তিনি বোঝান ইউক্রেনের পুরোনো ইস্পাত ও কয়লা উৎপাদনকারী এলাকাটিকে। যার অর্থ দাঁড়ায় সমগ্র দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক মিলিয়ে একটি বড় অঞ্চল। প্রধানত রুশ-ভাষী এই এলাকাটিকে ‘মুক্ত করার’ কথা বার বার বলে আসছেন পুতিন।

পূর্ব ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর নির্দেশের আগে রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত দুটি অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে পুতিন ইউক্রেনকে রাশিয়ার ইতিহাসের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, পূর্ব ইউক্রেন এক সময় রাশিয়ার ভূমি ছিল। পুতিনের এ ঘোষণার পরপর শুরু হয় ইউক্রেন আগ্রাসন।

সূত্র: বিবিসি

শেয়ার করুন