নব্বইয়ের দশকের একেবারের গোড়ার দিকেই কথা। শাহরুখ খান তখনও কিং খান হয়ে ওঠেননি। নামের সঙ্গে বলিউড বাদশাহ অভিধাও যুক্ত হয়নি। সালটা ছিল ১৯৯১। ‘দিল অ্যাশনা হ্যায়’ ছবির পরিচালনায় ছিলেন হেমা মালিনী। জিতেন্দ্র, মিঠুন চক্রবর্তী, দিব্য ভারতী, ডিম্পল কপাডিয়ার মতো তারকাদের পাশাপাশি সেই ছবিতেই এক তরুণ অভিনেতাকে ডেকে নেন পরিচালক। সেই নতুন মুখ আর কেউ নন, শাহরুখ খান।
সেবার একসঙ্গে পাঁচটি ছবির প্রস্তাব পেলেও হেমার ছবিতেই প্রথম কাজ শাহরুখের। ছবিটি করতে গিয়ে যে মুম্বাইয়ের প্রেমে পড়ে যাবেন তা হয়তো ভাবেননি এ তরুণ অভিনেতা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শাহরুখ জানান, ‘দিল অ্যাশনা হ্যায়’ ছবির শুটিং চলাকালে হেমা তার চুল আঁচড়ে দিয়েছিলেন একবার। ডেকে বলেছিলেন, ‘তোমাকে মেকআপ করা শিখতে হবে। ফিটফাট থাকতে হবে।’
উত্তরে শাহরুখ হেমাকে বলেছিলেন, আমি আমি দিল্লির ছেলে। মেকআপ সম্পর্কে খুব বেশি ধারণা নেই।’ তখন হেমা নিজেই এসে যত্ন করে শাহরুখের চুল আঁচড়ে দেন। ঠিক সে দিনই মুম্বাই না ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম বলিউড বাদশাহ।
‘দিল অ্যাশনা হ্যায়’ ছবির চুক্তি স্বাক্ষর ১৯৯১ সালে হলেও ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯২ সালে। ‘দিওয়ানা’ মুক্তির পর। তবে হেমার সঙ্গে প্রথম ছবির স্মৃতি আজও ভোলেননি শাহরুখ। এ ছবিটিই নাকি তার জীবন বদলে দিয়েছিল।
সবশেষ ২০০৪ সালে ‘বীরজারা’ ছবিতে হেমা মালিনীর সঙ্গে এক পর্দায় দেখা গিয়েছিল শাহরুখ খানকে।