যুক্তরাজ্য সরকারের আরও তিন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। আজ বুধবার তাঁদের পদত্যাগের ঘোষণায় আরও কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এর আগে জ্যেষ্ঠ দুই মন্ত্রীর পদত্যাগে চাপে পড়েন তিনি। খবর এএফপি, দ্য গার্ডিয়ান ও বিবিসির।
সর্বশেষ পদত্যাগের ঘোষণা দেন স্কুলবিষয়কমন্ত্রী রবিন ওয়াকার। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের নেতৃত্বে তাঁর আস্থা নেই। ওয়াকার শিক্ষা বিভাগের প্রতিমন্ত্রী ছিলেনও বলে জানায় দ্য গার্ডিয়ান।
এএফপি জানায়, এর আগে পদত্যাগের ঘোষণা দেন শিশু ও পরিবারবিষয়কমন্ত্রী উইল কুইন্স। তিনি বলেন, আমার পদত্যাগ ছাড়া কোনো উপায় ছিল না।
এদিকে, সরকারের ওপর ‘আস্থা’ চলে যাওয়ায় পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন জুনিয়র পরিবহনমন্ত্রী লরা ট্রট।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার ১০ মিনিটের ব্যবধানে অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ পদত্যাগ করেন। শুধু পদত্যাগ করেই তাঁরা ক্ষান্ত দেননি, প্রধানমন্ত্রী বরিসের নেতৃত্ব নিয়েও তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন।
সুনাক–সাজিদের পর আরও কয়েকজন পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তাঁদের মধ্যে আছেন কনজারভেটিভ পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান বিম অ্যাফোলামি ও সলিসিটর জেনারেল অ্যালেক্স চক। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর আরও চার সহযোগীও পদত্যাগ করেন।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিজের রাজনৈতিক ‘ক্যারিয়ার’ টিকিয়ে রাখতে এখন লড়ছেন বরিস জনসন। ইতিমধ্যে নতুন অর্থমন্ত্রী হিসেবে নাদিম জাহাবির নাম ঘোষণা করেছেন বরিস। নাদিম শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। শিক্ষামন্ত্রীর শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে মিশেল ডোনেলানকে।
আর স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে সাজিদের স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে স্টিভ বার্কলেকে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর চিফ অব স্টাফের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
মন্ত্রিসভা পুনর্গঠনের মাধ্যমে সরকার টিকিয়ে রাখার জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বরিস। তবে সর্বশেষ আরও তিন মন্ত্রীর পদত্যাগের পর তাঁর এই চেষ্টার সফলতা নিয়ে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে।
কনজারভেটিভ এমপি ও সাবেক চিফ হুইপ অ্যান্ড্রু মিচেল প্রধানমন্ত্রী বরিসের ‘শেষ’ দেখতে পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার মতো চরিত্র বা মেজাজ–মর্জি, কোনোটাই তাঁর (বরিস) নেই। এখন শুধু একটিই প্রশ্ন, ঘটনা কত দূর গড়াবে।