গভীর সংকটে বরিস জনসনের প্রধানমন্ত্রিত্ব

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

বরিস জনসন
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন - ছবি: এএফপি

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবার সত্যিই চাপের মুখে পড়ে গেছেন। তাঁর সরকারের দুই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ঋষি সুনাক ও সাজিদ জাভিদ গত মঙ্গলবার পদত্যাগ করেছেন। সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী যেভাবে সরকার পরিচালনা করছেন, তা তাঁরা সহ্য করতে পারছেন না।

বিতর্কও যেন পিছু ছাড়ছে না বরিস জনসনের। পার্টিগেট কেলেঙ্কারির রেশ কাটতে না কাটতেই এবার যৌন হয়রানির অভিযোগে অভিযুক্ত এক নেতাকে ডেপুটি চিফ হুইপের দায়িত্বে নিয়োজিত করেছিলেন জনসন। যদিও তিনি এর জন্য ক্ষমাও প্রার্থনা করেছেন। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি, তাঁর দুর্গে ফাটল ধরেছে।

এই পদত্যাগের পরিপ্রেক্ষিতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান ও ফিন্যান্সিয়াল টাইমস বলেছে, ‘বরিস জনসনের প্রধানমন্ত্রিত্ব হুমকির মুখে।’ এদের চেয়ে আরও এক ধাপ এগিয়ে দেশটির ট্যাবলয়েড ডেইলি মেইল প্রশ্ন রেখে বলেছে, ‘বরিসের মতো পিচ্ছিল রাজনীতিবিদ কি এই পরিস্থিতি উতরে যেতে পারবেন?’

এর মাত্র মাসখানেক আগে বরিস তাঁর বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব অল্পের জন্য উতরে যান। তবে বরিস জনসন এই সংকট উতরে যাবেন বলেই আশা। তাঁর দৃঢ় সমর্থক ও মন্ত্রিসভার সদস্য জ্যাকব রীস মগ দুই মন্ত্রীর পদত্যাগকে ছোটখাটো ইস্যু বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তবে তিনি উড়িয়ে দিলেও সুনাকের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে দেশটি আরও সংকটে পড়তে পারে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। দেশটিতে এরই মধ্যে মূল্যস্ফীতি নিকট ইতিহাসে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। নতুন অর্থমন্ত্রী নাদিম জাহাবিকে বেশ দুর্দশার মধ্য দিয়ে যেতে হতে পারে বলেও ধারণা করছেন অনেকে।

একের পর এক কেলেঙ্কারি এবং দলীয় নেতাদের বিদ্রোহের কারণে বেশ বিপাকেই পড়েছেন বরিস জনসন। তাঁর নিজ দল ছাড়াও বিরোধীদেরও তীব্র সমালোচনার মুখোমুখি তিনি। বিরোধীদলীয় নেতা কিয়ের স্টার্মার বলেছেন, এটি এখন পরিষ্কার যে সরকারের পতন হতে যাচ্ছে। তবে সরকারের পতন বা পরিবর্তন কবে এবং কীভাবে হবে, তা জানার জন্য আরও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে।

শেয়ার করুন