ত্যাগের মহিমা আর উচ্ছ্বাসের বারতা নিয়ে এসেছে ঈদ। দেশের প্রতিটি মুসলমানের ঘরে ঘরে আজ ঈদের আনন্দ।
দেশের বিভিন্ন স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঈদগাহ আর মসজিদে মসজিদে ঈদুল আজহার নামাজে অংশ নিয়েছেন সব শ্রেণি, পেশা আর বয়সের লাখো মুসলমান।
রোববার সকাল ৮টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে এবারের কুরবানির ঈদের প্রধান জামাত হয়। সেখানে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি রুহুল আমিন। করোনা মহামারিতে গত দুবছর ছেদ পড়ায় এবার মুসল্লিদের ঢল নেমেছে ঈদগাহে।
নামাজ শেষে মোনাজাতে করোনাভাইরাসের মহামারিসহ সব প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মুক্তি চেয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় দোয়া করা হয়। ‘বালা মুসিবত’ থেকে সুরক্ষা চাওয়া হয় আল্লাহর কাছে।বন্যার্তদের জন্য দোয়া চাওয়া হয়।
দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা কামনা করে মোনাজাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়।
দুই বছর পর কোরবানির ঈদের প্রধান জামাত এবার ফিরেছে জাতীয় ঈদগাহে; কোভিড সংক্রমণ নতুন করে বাড়তে থাকায় সবাইকে মানতে হয়েছে কিছু বিধিনিষেধ। ঈদ জামাতে মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা ছিল। স্বাস্থ্যবিধি মেনে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জামাতে দাঁড়াতে বলা হয়েছিল।
মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক, আইনজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল আজহার প্রধান জামাতে অংশ নেন।
প্রধান ঈদ জামাত ঘিরে নিরাপত্তার বন্দোবস্তুও ছিল।আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সরব উপস্থিতি দেখা গেছে ঈদগাহ এলাকায়।
প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদুল আজহার দিনে পাঁচটি জামাত হবে ঢাকায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে। সকাল ৭টায় সেখানে প্রথম জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররমের জ্যেষ্ঠ পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান।
ঈদ জামাত শেষে সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়েন পশু কোরবানির তোড়জোড়ে। এবার ঢাকায় সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে পশু জবাই করার জন্য আলাদা স্থান বেঁধে দেওয়া হয়নি। বরাবরের মতই নগরজুড়ে রাস্তা ও অলিগলিতে পশু জবাইয়ের দৃশ্য দেখা গেছে।