ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশবাসীসহ বিশ্বের সব মুসলিম ভাই-বোনদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
রোববার (১০ জুলাই) ঈদুল-আজহা উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ শুভেচ্ছা জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, মহান আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য ও সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদুল আজহা উৎসবের সঙ্গে মিশে আছে চরম ত্যাগ ও প্রভু প্রেমের পরাকাষ্ঠা। মহান আল্লাহর নির্দেশে স্বীয় পুত্র হযরত ইসমাইলকে (আ.) কোরবানি করতে উদ্যত হয়ে হযরত ইব্রাহিম (আ.) আল্লাহর প্রতি অগাধ ভালোবাসা, অবিচল আনুগত্য ও অসীম আত্মত্যাগের যে সুমহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা ইতিহাসে অতুলনীয়।
আবদুল হামিদ বলেন, কোরবানি আমাদের মধ্যে আত্মদান ও আত্মত্যাগের মানসিকতা সঞ্চারিত করে, আত্মীয়স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর সঙ্গে সুখ-দু:খ ভাগাভাগি করে নেওয়ার মনোভাব ও সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়।
তিনি বলেন, গত দুই বছর বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্ব করোনা মহামারির বিভীষিকার মধ্যেই ঈদুল আজহা উদযাপন করেছে। বর্তমানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও ভবিষ্যৎ সংক্রমণ বাড়ার রোধে যথাযথ সাবধানতা অবলম্বনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। করোনা মহামারি ও বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধ-সংঘাতের কারণে বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী। এ প্রেক্ষাপটে বিশ্বব্যাপী নিম্ন আয়ের মানুষ নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যে দিন যাপন করছে। তারাও যেন ঈদের আনন্দ হতে বঞ্চিত না হয় ও ঈদোৎসবে শামিল হতে পারে সে লক্ষ্যে তিনি দেশের বিত্তবান ও সচ্ছল ব্যক্তিবর্গকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
ত্যাগের শিক্ষা আমাদের ব্যক্তি জীবনে প্রতিফলিত হলেই সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবে শান্তি ও সৌহার্দ্য উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, মহান আল্লাহর কাজে কোরবানি কবুল হওয়ার জন্য শুদ্ধ নিয়ত ও বৈধ উপার্জন থাকা আবশ্যক। সরকার নির্ধারিত স্থানে কোরবানি করে ও কোরবানির বর্জ্য অপসারণের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ বন্ধে সবাই সচেষ্ট থাকবেন। ঈদুল আজহা সবার জন্য বয়ে আনুক কল্যাণ, সবার মধ্যে জেগে উঠুক ত্যাগের আদর্শ।