নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় ছাত্রলীগ নেতা হাসিবুল বাশারকে (২৫) কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন দুই আসামি। তারা হলেন মামলার প্রধান আসামি মো. হাসান (২৬) ও তার সহযোগী মো. জয় (২০)।
গতকাল সোমবার বিকেলে নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নবনীতা গুহ ১৬৪ ধারায় দুই আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে আদালতের নির্দেশে তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বিষয়টি নিশ্চিত করে নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম বলেন, গত রোববার রাতে ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার বাড়াই গোবিন্দ এলাকা থেকে আসামি হাসান ও তার সহযোগী জয়কে এবং আরেকটি এলাকা থেকে মো. রুবেলকে (৩৪) গ্রেপ্তার করা হয়।
গতকাল দুপুরে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম বলেন, দলীয় বিরোধের জের ধরে হাসিবুল বাশারকে একই দলের প্রতিপক্ষ হাসানসহ একদল সন্ত্রাসী মোটরসাইকেলের পথ রোধ করে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে। ওই ঘটনায় নিহত হাসিবুলের চাচা সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞতনামা ১০ থেকে ১২ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রধান আসামি হাসান এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধের জের ধরে ছাত্রলীগ নেতা হাসিবুলকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল গোপালপুর ইউনিয়নের মহিবুল্লাপুর সেতুসংলগ্ন রাস্তার পাশের খাল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি ধারালো কিরিচ, একটি লোহার রড এবং গ্রেপ্তার হাসানের মাছের খামার থেকে দেশে তৈরি একটি এলজি উদ্ধার করে পুলিশ।