অধ্যক্ষকে পেটানোর অভিযোগে অভিযুক্ত রাজশাহীর সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী এবার ভিকটিম অধ্যক্ষকে পাশে বসিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এ সময় অধ্যক্ষ সেলিম রেজা এমপির হাতে মার খাওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। তবে তার শরীরের আঘাতপ্রাপ্ত স্থান দেখতে চাইলে তিনি তা দেখাতে অস্বীকার করেন। মুখে কালো দাগ কীভাবে হয়েছে, সেটিও তিনি প্রকাশ করেননি।
অধ্যক্ষ সেলিম রেজা দাবি করেন, ঘটনার দিন রাতে এমপি ফারুক চৌধুরীর সঙ্গে কয়েকজন অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ দেখা করতে তার থিম ওমর প্লাজার চেম্বারে যান। সেখানে নিজেদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে এমপি ফারুক চৌধুরী তাদের নিবৃত্ত করেন।
এ সময় সাংবাদিকরা তার মুখের বামপাশের আঘাতের চিহ্ন কীভাবে হয়েছে জানতে চাইলে তিনি উত্তর দিতে পারেননি। বামহাতের আঘাতের চিহ্ন দেখতে চাইলেও দেখাতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার লিখিত বক্তব্যে সেলিম রেজা বলেন, এমপি সাহেবের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ একটি কুচক্রী মহল ১৫ জুলাই তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে গোদাগাড়ী-তানোর নির্বাচনী এলাকায় তার সুনাম, উন্নয়ন ও জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছেন। সাংবাদিক পরিচয় গোপন করে গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা পরিচয়ে আমার বাসায় প্রবেশ করেন।
তিনি বলেন, আমাকে অভিযোগ করার জন্য উসকানি দেন। আমার ছবি তোলার চেষ্টা করেন। আমি ছবি তুলতে দিইনি। কোনো অভিযোগ বা মন্তব্য প্রকাশ করিনি। আমরা কয়েকজন অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ ঈদ উপলক্ষে এমপি সাহেবের অফিসে দেখা করতে গিয়েছিলাম। এ সময় নিজেদের অধ্যক্ষ ফোরামে কমিটি গঠন নিয়ে তর্কবিতর্ক হয়। এ সময় এমপি আমাদের নিবৃত্ত করেন।