শ্রীলঙ্কার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় দেশটির সেনাবাহিনীকে শক্তিপ্রয়োগের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। দেশটির সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সরকারি সম্পত্তি, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, ঝুঁকিপূর্ণ স্থান এবং মানুষের জীবন রক্ষা করার জন্য শক্তি ব্যবহার করার ক্ষমতা পেয়েছেন সেনাসদস্যরা। খবর আল-জাজিরার।
সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বুধবার রাতে পার্লামেন্টে সংঘর্ষের সময় বিক্ষোভকারীদের একটি অংশের দ্বারা সংগঠিত সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছে। ওই সংঘর্ষের সময় নিরাপত্তা বাহিনীর কাছ থেকে দুটি অ্যাসল্ট রাইফেল কেড়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, সংঘর্ষের সময় সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন। পুলিশ বলছে, পার্লামেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের কাছে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন এবং ৮৪ জন আহত হয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো অনেকটাই শান্ত রয়েছে। বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগের অপেক্ষা করছেন। তবে শহরজুড়ে কারফিউ জারি রয়েছে। সহিংসতা ঠেকাতে রাস্তায় সেনাবাহিনী টহল দিচ্ছে।
গতকাল বুধবার শ্রীলঙ্কায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুনরুদ্ধারে প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে তিন বাহিনীর বেশ কয়েকজন কমান্ডার ও প্রতিরক্ষাসচিবের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করেন। এই কমিটিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যা যা করণীয়, সবকিছু করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষাপ্রধান জেনারেল শাভেন্দ্র সিলভা বলেন, সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশ দেশের সংবিধানকে সম্মান দেখাবে। শ্রীলঙ্কায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুনরুদ্ধারে দেশটির সেনাবাহিনীকে প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে নির্দেশ দেওয়ার পরই প্রতিরক্ষাপ্রধান এসব কথা বলেন।