হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের নামে তার কথিত স্ত্রীর নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় করা ধর্ষণ মামলায় ছাত্রলীগ নেতাসহ দুজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। আজ রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে এই সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
এ নিয়ে ওই ঘটনায় পঞ্চম দফায় আরও দুজন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হলো। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মামুনুল হককে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে সকাল নয়টার দিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মামুনুল হককে কাশিমপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়েছিল।
যে দুজনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে, তারা হলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি শাহ মো. সোহাগ ও সোনারগাঁয়ের বাসিন্দা মো. রতন মিয়া। সোহাগ এবার মোগড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সকালে কাশিমপুর কারাগার থেকে মামুনুল হককে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয়। দুই সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে তাকে আবার একই কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রকিব উদ্দিন আহমেদ বলেন, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আরও দুজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাক্ষীরা জানিয়েছেন, তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রয়েল রিসোর্টে নারীসহ মামুনুল হককে আটকের খবর জানতে পেরে সেখানে যান।
রকিব উদ্দিন আরও বলেন, মামলার বাদী, তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৪৩ জন সাক্ষীর মধ্যে বাদীসহ ১১ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।