‘আপনারা অনুমতি দিলে আমার দলের কাছে মনোনয়ন চাইবো’

মোহাম্মদ সজিবুল হুদা

মাছিহাতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা মডেল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৬ জুলাই) বিকালে চান্দপুর তমিজউদদীন বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

মাছিহাতা মডেল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কামরুল হাসান চৌধুরী লিটনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

universel cardiac hospital

সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা কী করেছি, আর কি করিনি এটা আপনাদের চোখের সামনে দৃশ্যমান। আমাদের সময়ে, আমাদের চেষ্টা অনুযায়ী চান্দুপুর তমিজউদদীন বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, চিনাইর আঞ্জুমান আরা উচ্চ বিদ্যালয়, চিনাইর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ডিগ্রি কলেজ, কাছাইট মাদ্রাসা, চাপুইর মাদ্রাসা, চাপুইর উচ্চ বিদ্যালয়সহ সবগুলো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়ন করেছি, কাঞ্চনপুরে নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ করেছি।

মোকতাদির চৌধুরী বলেন, রাস্তা-ঘাটেরও কি পরিমাণ উন্নয়ন করেছি, আর কি হয়নি এটিও আপনারা দেখতেছেন। তিতাস নদীর বাঁধ কাঞ্চনপুর পর্যন্ত নির্মিত হয়েছে। এরপরেও অনেক কাজ বাকি আছে, সব কাজ আমরা এই স্বল্প সময়ে করতে পারিনি; আপনারা বলতে পারেন, স্বল্প সময় কীভাবে? আমি মাত্র ২০১১ সালে সংসদ সদস্য হয়েছি কিন্তু বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে ১৯৭১ সালে। সুতরাং ৫০ বছরে জমে থাকা সব কাজ আমি এই অল্প সময়ে করতে পারিনি, কাজ অনেক বাকি আছে, তবে যা কাজ বাকি আছে, আমি আমার মৃত্যু পর্যন্ত সেই কাজগুলো করে যাওয়ার জন্য সচেষ্ট থাকব।

তিনি আরও বলেন, একেবারে ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্র কাজও যদি আমরা নলেজে আসে, আমি চেষ্টা করি সেই কাজটা করার জন্য। আমি সব জায়গার উন্নয়ন করার চেষ্টা করেছি, কোথাও কোনো বৈষম্য করিনি।

তিনি বলেন, করোনার কারণে পৃথিবীর অনেক দেশেই মানুষের অবস্থা খুবই খারাপ। সেখানে গ্রামেগঞ্জের মানুষকেও সরকার বিনামূল্যে বুস্টার ডোজ প্রদান করেছে। এখনও এই কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। সুতরাং এরচেয়ে দরদী সরকার আমরা আর কোথায় পাব?

প্রবীণ এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, আমাদের নেত্রীর (শেখ হাসিনা) একটা বড় গুণ হলো- ওনি যদি জানেন যে এই কাজটা করলে জনগণের উপকার হবে, তাহলে তিনি একজন সংসদ সদস্যের দাবি কোনো সময়েই বাদ দেন না। সুতরাং আমাদের এখানে যদি কোনো ভালো কাজ হয়, আর সেই কাজটার জন্য যদি প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য লাগে তাহলে প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে সাহায্য করবেন। কাজেই প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করবেন, বঙ্গবন্ধুর জন্য দোয়া করবেন।

মাছিহাতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।

মোকতাদির চৌধুরী বলেন, মাছিহাতা আমার নিজের ঘর, নিজের বাড়ি। সুতরাং এই মাছিহাতা, চান্দপুর পাঘাচংয়ের সাথে আমার আত্মার সম্পর্ক। এই ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে আমার পদচারণা আছে। এমন কোনো গ্রাম নেই যেখানে আমার আত্মীয়তা, পরিচিত লোক ও বন্ধুবান্ধব নেই।কাজেই এখানেই নতুন করে আমার কিছু বলার নেই।

তিনি বলেন, আপনারা যদি চান, আপনারা যদি অনুমতি দেন তাহলে আমি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমার দলের কাছে আমি মনোনয়ন চাইবো। আর আমার দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয়, আমি নির্বাচন করব, তখন আপনারা আমার জন্য খাটবেন। এসময় সম্মেলনে উপস্থিত জনতা হাত উঠিয়ে তাঁকে সমর্থন জানান এবং মনোনয়ন চাওয়ার দাবি তোলেন।

সম্মেলন উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূঁইয়া। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ এইচ এম মাহবুব আলম, জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সম্মেলনে কামরুল হাসান চৌধুরী লিটনকে সভাপতি ও সুলায়মান ভূঁইয়াকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হয়। এ কমিটি আগামী ৩ বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করবে।

শেয়ার করুন