দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে দাবানল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

দক্ষিণ ইউরোপে দাবানল
সংগৃহীত ছবি

পর্তুগাল, স্পেন, ফ্রান্স, গ্রিস ও মরক্কোতে দাবদাহের ফলে সৃষ্ট দাবানল ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। সেসব দেশের দমকলকর্মীরা আগুন নেভাতে রীতিমতো যুদ্ধ করে যাচ্ছেন। তা ছাড়া, দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপে তীব্র গরমে শত শত মানুষের মৃত্যু হচ্ছে বলে জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।

পর্তুগালে চলতি গ্রীষ্মে দ্বিতীয়বারের মতো দাবদাহ চলছে। সেখানে তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রি পর্যন্ত ছুঁয়েছে। স্পেনে পৌঁছেছে ৪৫ ডিগ্রি পর্যন্ত। অতিরিক্ত তাপমাত্রায় সৃষ্ট দাবানল থেকে রক্ষা করতে হাজার হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

universel cardiac hospital

পর্তুগালের আবহাওয়া ইনস্টিটিউট ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার পূর্বাভাস দিয়েছে, যা আগামী সপ্তাহের আগে নামার অবকাশ নেই। বৃহস্পতিবার দেশটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

পর্তুগালের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে ৭ থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত তীব্র গরমে ২৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বেশি। গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে পর্তুগালে সক্রিয় দাবানল ২০ স্থান থেকে কমে ১১ স্থানে রয়েছে। তবে দেশটির সিভিল ডিফেন্সের প্রধান আন্দ্রে ফার্নান্দেস বলছেন, এখনো আগুনের ঝুঁকি অনেক বেশি। এই সপ্তাহে চরম সতর্কতার একটি সপ্তাহ।

স্পেনের রাষ্ট্রীয় আবহাওয়া এজেন্সি দেশজুড়ে বিভিন্ন স্তরের অ্যালার্ট জারি রেখেছে। দেশটিতে কিছু কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। স্পেনের মিলিটারি এজেন্সির ছয়শর বেশি সদস্য দমকলকর্মী ও বন্যপ্রাণী রেঞ্জারদের সাহায্য করছেন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে। দাবানলে এ পর্যন্ত দেশটিতে ১৪ হাজার হেক্টর বন পুড়ে গেছে।

এদিকে, চলতি সপ্তাহে ফ্রান্সের দক্ষিণ-পশ্চিমে গিরোন্দে অঞ্চলের ১০ হাজার হেক্টর বনভূমি দাবানলে পুরে গেছে। দমকলকর্মীরা উপকূলীয় শহর আরকাচনে বনভূমি রক্ষায় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। ১২শ দমকলকর্মী ও পাঁচটি উড়োজাহাজ আগুন নেভাতে কাজ করে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত ১৪ হাজার বাসিন্দা ও পর্যটককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সাতটি জরুরি আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।

গ্রিস ও আফ্রিকার দেশ মরক্কোতেও দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। সেসব দেশে দমকলকর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। মরক্কোতে ১ হাজার পরিবারকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

গেল কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপে দ্বিতীয়বারের মতো দাবদাহ চলছে। জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা দাবদাহের জন্য দায়ী করছেন জলবায়ুর পরিবর্তনকে।

শেয়ার করুন