মেয়াদের শেষ সময়ে এসে বাড়তি খরচ হচ্ছে দেশের প্রথম মেট্রোরেল প্রকল্পে। বাড়তি ১.১৬ কিলোমিটার লাইনসহ অন্যান্য কাজ যোগ হওয়ায় এই প্রকল্পে (এমআরটি-৬) ব্যয় বেড়েছে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা বা ৫২.২৫ শতাংশ।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় মেট্রোরেলের সংশোধনীসহ মোট আটটি প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। সভা শেষে অনুমতি প্রকল্পগুলোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। এ সময় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম, পরিকল্পনা সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তীসহ কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রী মান্নান বলেন, আগামী ১৬ ডিসেম্বরে মেট্রোরেল চালু হবে বলে জানিয়েছে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। বাড়তি লাইন নির্মাণ, স্টেশন প্লাজাসহ অন্যান্য কাজের কারণে বাড়তি ব্যয় হবে।
২০১২ সালে অনুমোদন পাওয়া মেট্রোরেল লাইন-৬-এর মূল ব্যয় ছিল ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। অর্থায়ন করে জাইকা। শুরুতে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০.১০ কিলোমিটার মেট্রোরেল নির্মাণের কথা ছিল। পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় মতিঝিল থেকে কমলাপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত আরও ১.১৬ কিলোমিটার যোগ হয়ে লাইনের দৈর্ঘ্য ২১.২৬ কিলোমিটার। নতুন কাজের কারণে ব্যয় বেড়ে ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।
প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণে পাঁচ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এছাড়া চারটি স্টেশন প্লাজা নির্মাণে ৮৭৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, চারটি এলাকায় ফুটপাথ নির্মাণ ৭৫ কোটি টাকা এবং পরামর্শক খাতে বাড়তি ৫৭৬ কোটি টাকা ব্যয় হবে। গত জুন পর্যন্ত প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি হলো ৯২ শতাংশ।
ব্যয় বাড়ার পাশাপাশি প্রকল্পের মেয়াদ আরও দেড় বছর বাড়িয়ে ২০২৫ সাল পর্যন্ত হয়েছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যানজট থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিতে মেট্রোরেল নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। প্রকল্পের উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার অংশের কাজ প্রায় শেষের পথে। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে এই অংশে চলবে মেট্রোরেল। কাজ চলছে প্রকল্পের বাকি অংশেও। প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুসারে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত চলমান প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত রয়েছে।