আশ্বাসে শেষ হলো চবি ছাত্রীদের আন্দোলন

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

প্রায় পৌনে তিন ঘণ্টা অবস্থানের পর চার দফা দাবি মেনে নেওয়ার শর্তে আন্দোলন থেকে সরে এসেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ছাত্রীরা।

বুধবার (২০ জুলাই) রাত পৌনে ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের প্রবেশপথ অবরোধ করে আন্দোলন করেন তারা। এ সময় তারা চার দফা দাবি জানান।

universel cardiac hospital

দাবিগুলো হলো-

১. বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও মেডিকেল সেন্টারে প্রবেশের সময়সীমা তুলে নেওয়া ও ক্যাম্পাসে ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

২. যৌন নিপীড়ন সেল ভেঙে নতুন কার্যকরী যৌন নিপীড়ন সেল গঠন করা এবং গঠিত সেলে বিচার নিশ্চিতের জন্য সর্বোচ্চ সময় থাকবে এক মাস। এক মাসে বিচার নিশ্চিতকরণে ব্যর্থ হলে যৌন নিপীড়ন সেল নিজে শাস্তির আওতাভুক্ত হবে।

৩. যৌন নিপীড়ন সেলে চলমান অভিযোগগুলো আগামী চার কার্যদিবসের মধ্যে সমাধান করে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

৪. যৌন নিপীড়নের ঘটনাগুলোর বিচার আগামী ৪ কার্যদিবসের মধ্যে করতে না পারলে প্রক্টরিয়াল বডির সবাইকে পদত্যাগ করতে হবে।

লিখিত আকারে পেশকৃত এসব দাবি মেনে নেওয়ার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান স্বাক্ষর করলে ছাত্রীরা আন্দোলন থেকে সরে আসেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান বলেন, আন্দোলনরত ছাত্রীরা আমাদের কাছে লিখিত আকারে ৪ দফা দাবি জানিয়েছে। আমরা দাবিগুলো মেনে নিয়েছি। ছাত্রীরা এখন হলে ফিরে গিয়েছে।

শেয়ার করুন