ট্রেন থামার আগেই তড়িঘড়ি করে প্ল্যাটফর্মে নামার চেষ্টা করেছিলেন মো. আবু বক্কর শিমুল (১৮)। কিন্তু প্ল্যাটফর্মে পা দেওয়ার আগেই প্ল্যাটফর্ম ও ট্রেনের মাঝের ফাঁকা জায়গা দিয়ে নিচে পড়ে যান তিনি। মুহূর্তেই শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তার দুই পা। আজ শুক্রবার বিকেল সোয়া চারটার দিকে নাটোর রেলস্টেশনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই তরুণকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আবু বক্কর নাটোর সদর উপজেলার তেবাড়িয়া ইউনিয়নের আটঘরিয়া গ্রামের মো. ফরিদ উদ্দিনের ছেলে। তিনি পড়ালেখার পাশাপাশি মুঠোফোন মেরামতের দোকানে কাজ করতেন বলে জানা গেছে।
নাটোর রেলস্টেশন সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী ছিলেন আবু বক্কর। বিকেল সোয়া চারটার দিকে ট্রেনটি নাটোর রেলস্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ানোর আগমুহূর্তে তিনি তড়িঘড়ি করে নামার চেষ্টা করেন।
প্ল্যাটফর্মে পা দেওয়ার আগেই তিনি প্ল্যাটফর্ম ও ট্রেনের মাঝের ফাঁকা জায়গা দিয়ে নিচে পড়ে যান। এতে ট্রেনের চাকায় পিষ্ট হয়ে তার বাঁ পা মাজার নিচ থেকে এবং ডান পা হাঁটুর নিচ থেকে কেটে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে গুরুতর আহত আবু বক্করকে উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।