এক সাংবাদিককে অকথ্য ভাষায় গালি দেওয়ার ঘটনায় কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কায়সার খসরুকে ভর্ৎসনা করেছেন হাইকোর্ট।
একজন প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার এ ধরনের ভাষা ব্যবহার একেবারেই অগ্রহণযোগ্য ও আপত্তিকর বলে মন্তব্য করে আদালত বলেছেন, কোনো রং হেডেড ব্যক্তি ছাড়া কেউ এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করতে পারেন না।
আজ রোববার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
একই সঙ্গে এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ইউএনওর বিরুদ্ধে বিভাগীয় কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানাতে রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান আদালতে ইউএনওর অকথ্য গালিগালাজ নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন হাইকোর্টের নজরে আনলে আদালত এ ভর্ৎসনা করেন।
আদালত বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ। তারা কোনো ভুল করলে তার জন্য প্রেস কাউন্সিল, আইন আছে। কিন্তু সংবাদ প্রকাশ নিয়ে ইউএনও যে ভাষা ব্যবহার করেছেন তা খুবই অবজেকশনাবল ও দুঃখজনক।
‘তিনি একজন মাস্তানের চেয়েও খারাপ ভাষা ব্যবহার করেছেন’ এমন মন্তব্যও করেন আদালত।
উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই নিচু জায়গায় নির্মাণ করা উপহারের ঘর পানিতে ডুবে থাকার বিষয়ে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবেদক স্থানীয় সাংবাদিক সাইদুল ফরহাদকে অকথ্য গালিগালাজ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কায়সার খসরু।
২১ জুলাই রাত পৌনে ১০টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তার অফিসিয়াল নম্বর থেকে কল করেন সাইদুল ফরহাদকে।
তবে পরের দিন ২২ জুলাই এক বৈঠকে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চান।