ভারতের ১৫তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মু। সোমবার (২৫ জুলাই) সকাল সোয়া ১০টায় ভারতীয় পার্লামেন্টের সেন্ট্রাল হলে শুরু হয় শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। দ্রৌপদী মুর্মুকে শপথবাক্য পাঠ করান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রমানা। শপথ গ্রহণের পর নতুন রাষ্ট্রপতিকে গান স্যালুট দেওয়া হয়। এরপর সেন্ট্রাল হলে ভাষণ দেন দ্রৌপদী মুর্মু।
রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়ে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, ভারতের দরিদ্ররা যে স্বপ্ন দেখতে পারে এবং তা সত্যি করতে পারে, এর বড় প্রমাণ আমার নির্বাচন। তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনই আমার কাছে স্বপ্ন ছিল।
এ সময় তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে আমার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল। আর স্বাধীনতার ৭৫ বছরে আমি রাষ্ট্রপতি হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছি। রাষ্ট্রপতি হিসেবে আমার পদোন্নতি শুধু আমার নয়, দেশের সকলেরই কৃতিত্ব। তারা এই স্তরে পৌঁছানোর স্বপ্ন দেখতে পারেন, এটাই তাদের কৃতিত্ব। প্রতিটি দরিদ্র মানুষ, প্রতিটি প্রান্তিক মানুষ আমাকে এই পদক্ষেপে আশীর্বাদ করেছেন এবং আমি সম্মানিত বোধ করছি। আমি নারী ও যুবকদের আশ্বস্ত করতে চাই যে তাদের স্বার্থ আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, সমস্ত ভারতীয়দের প্রত্যাশা, আকাঙ্ক্ষা এবং অধিকারের প্রতীক- সংসদে দাঁড়িয়ে আমি বিনীতভাবে আপনাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আপনাদের বিশ্বাস এবং সমর্থন এই নতুন দায়িত্ব পালনের জন্য আমার কাছে একটি বড় শক্তি হবে।
তিনি বলেন, আমার কাছে সন্তোষজনক যে, যারা বছরের পর বছর উন্নয়ন বঞ্চিত ছিল- দরিদ্র, দলিত, পিছিয়ে পড়া, আদিবাসী- তারা আমাকে তাদের প্রতিচ্ছবি হিসেবে দেখতে পাচ্ছেন। আমার মনোনয়নের পিছনে দরিদ্রদের আশীর্বাদ রয়েছে, এটা কোটি কোটি নারীর স্বপ্ন ও সামর্থ্যের প্রতিফলন।
তিনি আরও বলেন, আমি সেই আদিবাসী ঐতিহ্যে জন্মগ্রহণ করেছি যা হাজার বছর ধরে প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে জীবন চালিয়ে গেছে। আমি আমার জীবনকালে বন ও জলাশয়ের গুরুত্ব উপলব্ধি করেছি। আমরা প্রকৃতি থেকে প্রয়োজনীয় সম্পদ গ্রহণ করি এবং সমান শ্রদ্ধার সাথে প্রকৃতির সেবা করি।
সবশেষে দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, ভারত প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়নের নতুন পর্ব যোগ করছে। করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই বিশ্বব্যাপী ভারতের প্রভাব বাড়িয়েছে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস