দেশের ডলারের বাজারে অস্থিরতা বিরাজমান। গত মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) খোলাবাজারে ডলার রেকর্ড ১১২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দেশের ব্যাংকগুলোও গ্রাহকের কাছে ১০৫ থেকে ১০৮ টাকায় ডলার বিক্রি করছে। এছাড়া বৈদেশিক বাণিজ্যে অর্থ লেনদেনে ব্যাংকগুলোতে যেমন পড়েছে বাড়তি চাপ তেমনি ইচ্ছেমতো দামে কেনাবেচা হচ্ছে মানি এক্সচেঞ্জগুলোতে। চলমান এ পরিস্থিতিতে ডলারের বাজার স্থিতিশীল করতে বাংলাদেশ ব্যাংক এবার মাঠে নেমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ১০টি পরিদর্শক দল বাণিজ্যিক ব্যাংক, মানি এক্সচেঞ্জ হাউজ ও খোলাবাজার পরিদর্শন শুরু করেছে।
তিনি বলেন, বেশি টাকা দিলেই ডলার পাওয়া যাচ্ছে। মানি এক্সচেঞ্জে আমাদের পরিদর্শকরা গিয়েছেন। এসময় সেখানে কিছু কিছু অনিয়ম পাওয়া গেছে। এক্ষেত্রে ব্যাংক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ডলারের বাজারে অস্থিতিশীলতা কাটাতে মতিঝিল এলাকায় মানি এক্সচেঞ্জগুলোতে অভিযান চালানো হয়েছে বলেও জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাজার স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এ পরিদর্শন অব্যাহত থাকবে জানিয়ে সিরাজুল ইসলাম বলেন, পরিদর্শনে ডলার কেনাবেচার তথ্য সংগ্রহ ছাড়াও ক্রেতাদের বিষয়ে জানার চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, ডলার কেনাবেচায় কারসাজির প্রমাণ পেলে লাইসেন্স বাতিলের মতো পদক্ষেপ নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনসহ সংগঠনের সদস্যরা বাংলাদেশ ব্যাংকের নবনিযুক্ত গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে দেখা করেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, যারা ডলারের বাজার অস্থিতিশীল করছে, তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ব্যাংকগুলো তো ব্যবসা করার জন্য লাইসেন্স নিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ৯৩ থেকে ৯৪ টাকায় ডলার দেবে এবং এরপরে তারা ১০৫ থেকে ১১০ টাকায় ডলার বিক্রি করবেন। এটা তো আমরা চাই না। আমরা তো শুনেছি, এখন শেয়ার ব্যবসায়ীরাও ডলারের ব্যবসা শুরু করেছেন। এর জন্য আমরা মনে করি, সরকারকে এগুলো শক্ত হাতে ধরা দরকার।
উল্লেখ্য, আন্তঃব্যাংক বাজারে ডলারের বিনিময়মূল্য ৯৪ টাকা ৭০ পয়সা। কিন্তু কোনো কোনো ব্যাংক ১০৫ থেকে ১০৮ টাকা দরে ডলার বিক্রি করছে।