হেপাটাইটিস প্রতিরোধে ব্যাপক গণসচেতনতা বাড়াতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বে হেপাটাইটিস ভাইরাস বহনকারী প্রতি ১০ জনের নয়জনই জানে না যে, সে ওই রোগে আক্রান্ত। ব্যাপক গণসচেতনতার মাধ্যমে জনগণকে এই বিষয়ে সচেতন করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) ‘বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস-২০২২’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে এসব কথা বলেন তিনি।

universel cardiac hospital

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। ভাইরাল হেপাটাইটিস প্রতিরোধে দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘Hepatitis, Can’t Wait’ অর্থাৎ ‘হেপাটাইটিস, আর অপেক্ষা নয়’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা একটি জনমুখী স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করেছি ও এই নীতির বাস্তবায়ন করছি। আমরা নতুন মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ, নার্সিং কলেজ, নার্সি ইনস্টিটিউট, মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ও হেলথ টেকনোলজি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছি।

তিনি আরও বলেন, সাধারণ ও বিশেষায়িত হাসপাতালের শয্যাসংখ্যা এবং চিকিৎসাসেবা বহুগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে সাড়ে ১৮ হাজার কমিউিনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। আমাদের নানামুখী পদক্ষেপে স্বাস্থ্যখাতে যথেষ্ট উন্নতি সাধিত হয়েছে। শিশু মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে, বেড়েছে দেশের মানুষের গড় আয়ু।

‘আমাদের চিকিৎসক সমাজকে আরও বেশি সেবার মনোভাব নিয়ে সাধারণ মানুষের সেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী হেপাটাইটিস নির্মূলের লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে, যা বাস্তবসম্মত এবং আমাদের সকলের প্রচেষ্টায় তা অর্জন করা সম্ভব। হেপাটাইটিস নির্ণয়ে এখনই পরীক্ষা করতে হবে।’

‘দেশে হেপাটাইটিস প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি ব্যক্তি, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। আমি দেশবাসীকে আহ্বান জানাই, আপনারা এ মহামারি মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে হেপাটাইটিস প্রতিরোধে আরও সচেতন হোন। আমি বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস ২০২২- এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।’

শেয়ার করুন