দেশে জ্বালানি তেলের আমদানি বন্ধ থাকলেও ৩২ দিনের ডিজেলের মজুদ আছে। শিগগির আরও ৫০ হাজার লিটার তেল দেশে আসবে। আমদানি প্রক্রিয়া চলমান থাকায় মজুদে ঘাটতি পড়বে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)।
জ্বালানি ব্যবহার সাশ্রয়ে মোটরসাইকেলে সর্বোচ্চ ৪০০ টাকার এবং গাড়িতে সর্বোচ্চ তিন হাজার টাকার ডিজেল বা অকটেন নেওয়া যাবে—তেলের পাম্পে টাঙিয়ে রাখা এমন একটি বিজ্ঞপ্তি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
এই প্রেক্ষাপটে দেশে জ্বালানি তেলের সংকটের বিষয়ে জানতে চাইলে বুধবার (২৭ জুলাই) বিপিসি চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের আগামী ছয় মাসের আমদানি পরিকল্পনা বাস্তবায়িত আছে। সুতরাং উৎকন্ঠিত হবার কিছু নেই। এটি একটি সাইক্লিং প্রক্রিয়া। বর্তমানে ৩২ দিনের মজুদ থাকলেও কিছুদিনের মধ্যে ৫০ হাজার লিটার তেলের জাহাজ দেশে আসবে। ফলে ঘাটতি আবার পূরণ হয়ে যাবে।’
আমদানি প্রক্রিয়া চলমান থাকবে কিনা এমন প্রশ্নে এবিএম আজাদ বলেন, ‘কোম্পানিগুলোর সঙ্গে ছয় মাসের চুক্তি হয়ে আছে। তেল দেশে আসবেই। চুক্তি শেষ হবার পর আমরা আবার নতুন চুক্তি করবো। এছাড়া পেট্রোলের যোগান আমরা দেশ থেকেই পাই। রিফাইনারি কোম্পানিগুলো আমাদের পেট্রোল সাপ্লাই করে থাকে। সাশ্রয়ের জন্য এখন তেল কেনা বন্ধ আছে। অচিরেই সংকট কেটে যাবে।’
সারাদেশে প্রতিদিন ডিজেলের চাহিদা প্রায় ১৩-১৪ হাজার মেট্রিক টন। দেশে বর্তমানে ডিজেল চার লাখ ৩১ হাজার মেট্রিক টন, অকটেন ১২ হাজার ২৩৮ মেট্রিক টন, পেট্রল ২১ হাজার ৮৮৩ মেট্রিক টন, জেট ফুয়েল ৬২ হাজার ৮৯১ মেট্রিক টন এবং ফার্নেস অয়েল ৮৫ হাজার ৪১ মেট্রিক টন মজুদ আছে।
ইতোমধ্যে জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্যে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। বাজেটে বরাদ্দ থাকার পরেও জ্বালানি সাশ্রয়ে সরকারি ও আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানকে ২০-২৫ শতাংশ কম জ্বালানি তেল, গ্যাস ও বিদ্যুৎ ব্যবহার করার নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্র জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২৫ শতাংশ কম বিদ্যুৎ ব্যবহারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৩ দিন বন্ধ রাখার মতো প্রস্তাবনা এসেছে।
এছাড়াও জ্বালানি সাশ্রয়ে ১৪ দফা নির্দেশনা দিয়েছে এনবিআর। কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রত্যেক ব্যাংকে জ্বালানি বরাদ্দে ২০ শতাংশ অর্থ সাশ্রয় করার নির্দেশ দিয়েছে।