রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রিক্তা আক্তারের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ শনিবার বেলা দুইটার দিকে ওই ছাত্রীর বাবা লিয়াকত জোয়ার্দার বাদী হয়ে মতিহার থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলার একমাত্র আসামি হিসেবে আগে থেকেই আটক ওই ছাত্রীর স্বামী আবদুল্লাহ ইশতিয়াক রাব্বিকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। আজ বিকেল পৌনে চারটার দিকে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলী তুহিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী নগরের ধরমপুর পূর্বপাড়া এলাকার ভাড়া বাসা থেকে রিক্তা আক্তারের লাশ উদ্ধার করা হয়। রিক্তার বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার জোতপাড়া গ্রামে।
তার স্বামী আবদুল্লাহ ইশতিয়াক রাব্বি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার পোড়াহাটি গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে। আড়াই বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। দুজনে নগরের ধরমপুর পূর্বপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।
ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগে থেকে দুজনের প্রেম ছিল। বিষয়টি উভয় পরিবারকে জানানো হয়। ছেলের পরিবারের পক্ষ থেকে শর্ত দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারলে বিয়ে হবে। দুজনেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।
এরপর তাদের বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর রিক্তা আক্তারকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেনে নেয়নি বলে অভিযোগ তাদের।