চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ট্রেনের ধাক্কায় পর্যটকবাহী মাইক্রোবাসের ১১ যাত্রী নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার (২৯ জুলাই) দিনগত রাতে চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে গেটকিপার সাদ্দাম হোসেনকে একমাত্র আসামি করে মামলাটি করেন রেলওয়ে পুলিশের এএসআই মো. জহির।
শনিবার (৩০ জুলাই) সকালে চট্টগ্রামের রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে দিকে মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। হতাহতদের সবার বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার আমান বাজারে।
মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবীর হোসেন জানান, মাইক্রোবাসে ১৮ যাত্রী ছিল। তারা খৈয়াছড়া ঝরনা দেখে ফেরার সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতীর ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১১ যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এতে আহত হয়েছেন আরও ৭ জন। তাদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পূর্ব রেলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনসার আলী জানান, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী ওই লেভেল ক্রসিং পার হওয়ার মুখে খৈয়াছড়াগামী একটি পর্যটকবাহী মাইক্রোবাস লাইনে উঠে পড়ে। সংঘর্ষের পর মাইক্রোবাসটি ট্রেনের ইঞ্জিনের সঙ্গে আটকে যায়। ওই অবস্থায় মাইক্রোবাসটিকে বেশ খানিকটা পথ ছেঁচড়ে নিয়ে থামে ট্রেন।
রেল কর্মকর্তা আনসার আলীর দাবি, ট্রেন আসায় গেটম্যান সাদ্দাম বাঁশ ফেলেছিলেন। কিন্তু মাইক্রোবাসটি বাঁশ ঠেলে ক্রসিংয়ে উঠে পড়ে।
তবে প্রত্যক্ষদর্শী মফিজুল হক জানান, দুর্ঘটনার সময় গেটম্যান ছিলেন না। তিনি জুমার নামাজ পড়তে মসজিদে গিয়েছিলেন।