নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম দেওভোগ এলাকায় মেহেদী হাসান (২১) নামের এক হোসিয়ারি কারখানার শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মেহেদী হাসান শহরের পশ্চিম দেওভোগ এলাকায় শফিকুল ইসলাম বাবুর্চির ছেলে। তিনি হোসিয়ারি কারখানার শ্রমিক।
ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু হানিফ বলেন, রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহরের পশ্চিম দেওভোগ এলাকায় ওই তরুণকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তবে কারা তাকে হত্যা করেছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
নিহত ব্যক্তির মা সাফিয়া খাতুন বলেন, এলাকার একজনের জানাজা শেষে মেহেদী বাড়ির পাশের চায়ের দোকানে গিয়েছিলেন। গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি তার ছেলের মুঠোফোনে কল করলে মেহেদী জানান, তিনি বাসায় ফিরছেন। ওই সময় তিনি মুঠোফোনে শুনতে পান, কারা যেন তাকে নিয়ে যাওয়ার কথা বলছেন। এরপর তিনি তার ছেলের মুঠোফোন বন্ধ পান।
সাফিয়া খাতুন আরও বলেন, লোকজন আইসা কয়, আমার পোলারে কুপাইছে। ওরে হাসপাতালে নিয়া গেছে। আমি হাসপাতালে আইসা দেখি আমার পোলা আর নাই। আমার ছেলেরে যারা মারছে, ওগো শাস্তি চাই, ওগো ফাঁসি চাই।
নিহত ব্যক্তির বড় বোন মৌসুমি বেগম বলেন, কিছুদিন আগে শহরের বালুর মাঠ এলাকায় কিছু লোকের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল তার ভাইয়ের। এরপর থেকে তার ভাই অনেকবার বলেছেন, তাঁকে তাঁরা মেরে ফেলবেন।
এ বিষয়ে ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রিজাউল হক বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, পূর্বশত্রুতার জেরে ওই যুবককে হত্যা করা হয়েছে। হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে। লাশের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।