কিছুদিন আগে দক্ষিণ ইউক্রেনের লুহানস্ক অঞ্চলের দখল নিয়েছে রুশ বাহিনী। এবার ডনবাসের দ্বিতীয় অংশ দোনেৎস্কের দখল নিতে তীব্র আক্রমণ চালাচ্ছে তারা। এর জেরে ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের বাধ্যতামূলকভাবে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। খবর রয়টার্সের।
শনিবার (৩০ জুলাই) রাতে টেলিভিশনের এক ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, বৃহত্তর ডনবাস অঞ্চলের যেসব বাসিন্দা এখনো যুদ্ধের এলাকায় রয়েছেন, তাদের সরে যাওয়া প্রয়োজন।
তিনি বলেন, যত লোক দোনেৎস্ক থেকে বেরোবে, রুশ সেনারা হত্যার জন্য তত কম লোক পাবে। জেলেনস্কি বলেন, অনেকেই সরে যেতে রাজি হচ্ছেন না। কিন্তু এটি করা দরকার। আপনার যদি সুযোগ থাকে, তাহলে যারা ডনবাসে যুদ্ধের এলাকায় রয়েছে, তাদের সঙ্গে কথা বলুন। দয়া করে তাদের বোঝান যে, সরে যাওয়া জরুরি। সেখান থেকে সরে যাওয়া বাসিন্দাদের প্রয়োজনে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এদিন পৃথকভাবে ইউক্রেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেশচুক বলেছেন, শীত আসার আগেই ওই অঞ্চলের লোকজন সরানোর কাজ শেষ হওয়া প্রয়োজন। কারণ সেখানকার প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ লাইন পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।
তবে ইউক্রেনে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত জন হার্বস্ট মনে করছেন, জ্বালানির ঘাটতির জন্য নয়, তীব্র লড়াইয়ের আশঙ্কাতেই হয়তো এই নির্দেশ দিয়েছে কিয়েভ প্রশাসন।
তিনি বলেন, আমি জানি না জেলেনস্কি কেন এই নির্দেশ দিলেন। আমি যা জানি তা হলো, দোনেৎস্কে ভয়ংকর লড়াই হয়েছে। রুশরা কয়েক সপ্তাহ আগে (প্রতিবেশী) লুহানস্কের দখল নিয়েছিল। আমি দোনেৎস্কে আরও ভয়ংকর লড়াইয়ের আশঙ্কা করছি।