প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তিন দিনের সফরে ভারতে যাচ্ছেন। আশা করা হচ্ছে, এ সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে যৌথভাবে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন মৈত্রী সুপার থার্মাল বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করবেন তিনি। প্রকল্পটি বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার রামপালে অবস্থিত। রোববার (৩১ জুলাই) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ খবর দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বিদ্যুৎকেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রটি স্থাপন করছে বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড। দেড় বিলিয়ন ডলারের এই প্রকল্পটি মূলত ভারতের এনটিপিসি এবং বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের একটি যৌথ উদ্যোগ।
হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, আগামী ৫ থেকে ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আশা করা হচ্ছে, এ সময় দুই থেকে তিন দিন দেশটিতে অবস্থান করবেন তিনি।
মোদি সরকার এই সফরকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে। কারণ, ঢাকা ভারতের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্রদের একটি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লিতে পৌঁছানোর আগে কলকাতা-চট্টগ্রাম-মংলা বন্দরের মধ্যে ট্রায়াল রান দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্কে এক নতুন অধ্যায় তৈরি করবে। এতে ভারতের জন্য তার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে পৌঁছানোর জন্য সহজ বিকল্প তৈরি হবে। একইসঙ্গে বাংলাদেশের জন্যও এ পথে আমদানি, রফতানির কন্টেইনার ব্যবহারের সুযোগ তৈরি হবে।
ভারতের ঘনিষ্ঠ মিত্র হওয়ার কারণে মোদি সরকার দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশে গম রফতানির অনুমতি দিয়েছে।
ভারত বাংলাদেশকে প্রায় ৬৬ শতাংশ গম সরবরাহ করে। ইউক্রেন থেকে প্রতি বছর যে ১৫ শতাংশের মতো আমদানি করা হয়, যুদ্ধের কারণে সেটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বাংলাদেশ ঋণের জন্য আইএমএফের শরণাপন্ন হয়েছে, এটা ঠিক। তবে শেখ হাসিনার অধীনে দেশের অর্থনীতি ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটেছে। এ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের বেশি।
এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে ডলারের বিপরীতে স্থানীয় মুদ্রার মান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারপরও পাকিস্তানি রুপি এবং শ্রীলঙ্কান রুপির তুলনায় মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশের মুদ্রা টাকা এখনও শক্তিশালী।