সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলা বিচারের জন্য আবারও আদালত পরিবর্তন চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। সোমবার (১ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম. আব্দুল কাইয়ুম লিটন।
এ বিষয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানি হতে পারে।
আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম বলেন, সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় দুই অভিযোগের বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে করার নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে। বর্তমানে এ মামলার বিচারকাজ সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, গত বছরের জানুয়ারিতে করা ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয় চলতি বছরের মে মাসে। তবে এ পর্যন্ত সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি। এ কারণে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার চেয়ে মামলার বাদী ওই গৃহবধূর স্বামী এ রিট করেছেন। এর আগেও ২০২১ সালের গত ৩ ফেব্রুয়ারি আদালত পরিবর্তন চেয়ে রিট আবেদন করা হয়েছিল। এখন আবারও একই আবেদন করা হলো।
২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় মামলা করেন।
এ মামলায় আটজনকে অভিযুক্ত করে গত ৩ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। তারা হলেন- সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল, মিসবাউল ইসলাম ওরফে রাজন, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম।
এই আট আসামিই বর্তমানে কারাগারে আছেন। গত ১৭ জানুয়ারি এ মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোহিতুল হক। মামলাটি বর্তমানে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।
এছাড়া এ ঘটনায় চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়রা আদালতে পৃথক চার্জশিট দেওয়া হয়। পরে বাদীপক্ষ হাইকোর্টে আসলে দুটি মামলা এক আদালতে চলবে বলে আদেশ দেন হাইকোর্ট।