বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর পর্যটন দর্শন কী সেটি যে আমি খুব একটা বুঝি, তা নই; কিন্তু বঙ্গবন্ধুর দর্শনটা কী সেটা আমি বুঝি। দুর্ভাগ্যক্রমে আমরা বঙ্গবন্ধুর দর্শন থেকে ক্রমান্বয়ে দূরে সরে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধু বহুবার বলেছেন, ‘বাংলাদেশ হবে সুইজারল্যান্ডের মতো শান্তি ও সম্প্রীতির একটি দেশ। কিন্তু আমরা এখনও তাঁর এই দর্শনটি এদেশে বাস্তবায়ন করতে পারিনি।
৩১ জুলাই (রোববার) আগারগাঁওয়ে পর্যটন ভবনের ব্যাঙ্কুয়েট হলে বাংলাদেশ ট্যাুরিজম এক্সপ্লোরারস এসোসিয়েশন ( বিটিইএ) আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর পর্যটন দর্শন’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও বিটিইএ-এর নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক-২০২২ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মোকতাদির চৌধুরী বলেন, আমি সবসময় বলি, বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে হলে একটা বই পড়লেই চলবে; পড়বেন শুধু বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী। মানুষ সম্পর্কে তাঁর ধারণাটা কি সেখানে তিনি তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠী সম্পর্কে তাঁর কী ধারণা, সেখানে তা তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, গণতন্ত্র সম্পর্কে তাঁর কী ধারণা, সেটাও স্পষ্ট করেছেন বইটিতে।
তিনি বলেন, পর্যটন কর্পোরেশন বঙ্গবন্ধুর নিজের হাতে করা। এই কর্পোরেশনকে তিনি একটি শক্তিশালী অর্গানাইজেশন হিসেবে দাঁড় করাতে চেয়েছিলেন। আমার দুর্ভাগ্য যে আমি সংসদীয় কমিটির এমন একটি জায়গায় অবস্থান করছি, যেখানে তিনি দুই গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন- একটি হলো বাংলাদেশের কোনো বিমান বহর ছিলো না, তিনি বিমান বহর করেছিলেন ‘বাংলাদেশ বিমান’ নাম দিয়ে, এটাও ফেইল। পর্যটন কর্পোরেশন নাম দিয়ে তিনি পর্যটনের ক্ষেত্রে বিশাল সম্ভাবনার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন, এটাও ফেইল। অথচ বাংলাদেশের রয়েছে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা। এদেশের পর্যটনের সোনার খনি হলো- পার্বত্য চট্টগ্রাম, কিন্তু আমরা এটিকে যথাযথভাবে এক্সপ্লোর করতে পারিনি।
তিনি আরও বলেন, আমরা যদি পর্যটনশিল্পকে পর্যটকের দৃষ্টিতে দেখি বা পর্যটনশিল্পের বিকাশের দৃষ্টিতে দেখি তাহলেই অনেক কিছু সহজ হয়ে যায়।