উজান থেকে নেমে আসা ঢল আর কয়েকদিনের বর্ষণে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সোমবার (১ আগস্ট) বিকেলে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে প্রবাহিত হতে থাকে।
এর আগে রোববার রাত থেকে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে থাকে। এক সময় সোমবার সকালে পানি বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই করছিল। সোমবার বিকেল তিনটায় নীলফামারীর ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বেড়ে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক নূরুল ইসলাম জানান, সোমবার সকাল ছয়টা থেকে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও দুপুর ১২টার পর থেকে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। বিকেল তিনটায় পানি আরও বেড়ে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তাবেষ্টিত নিম্নাঞ্চলে ফের নতুন করে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। বাইশ পুকুর এলাকার বাসিন্দারা জানান, এর আগে দুই দফায় এলাকায় পানি ঢুকে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। সোমবার সকাল থেকে আবারও এলাকায় পানি ঢুকতে শুরু করায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার চরের মানুষের মধ্যে আবারও ভয়ভীতি দেখা দিয়েছে। টেপাখড়িবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল ইসলাম বলেন, পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তা নদীবেষ্টিত কিছু এলাকায় আবারও পানি ঢুকতে শুরু করেছে। নদীবেষ্টিত এলাকার মানুষদের আমরা সতর্ক থাকতে বলেছি। পানি অব্যাহত বৃদ্ধি পেলে নিচু এলাকায় যারা বসবাস করেন তাদের সরে যেতে অনুরোধ করা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারীর ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউদ দৌলা বলেন, সকাল থেকে তিস্তার নদীর পানি বাড়তে বাড়তে দুপুর থেকে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া শুরু করে। বর্তমানে পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পানি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যারেজের সবকয়টি (৪৪টি) জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, এক মাসেরও বেশি সময় পর ফের তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে সর্বশেষ ২৯ জুন তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছিল।