বাংলাদেশ ক্রিকেটে নিছকই ভদ্রতার খাতিরে ‘বিশ্রাম’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়। এদেশের ক্রিকেট সংস্কৃতিতে বিশ্রাম শব্দটির খুব একটা চল ছিল না। টানা খেলায় কেউ হাপিয়ে ওঠলে সাকিব আল হাসানের মতো ‘ছুটি’ নিতেন। বোর্ড থেকে সেধে বিশ্রাম দেওয়ার পেছনে যে সত্য লুকিয়ে আছে, সেটি দল থেকে ‘বাদ’ পড়া। জিম্বাবুয়ে সফরের টি-টোয়েন্টি সিরিজে থেকে এমনই বিশ্রাম পেয়েছিলেন নিয়মিত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
টানা অফ ফর্মের কারণে বাদ পড়লেও তিন ম্যাচ সিরিজের দুই ম্যাচ যেতেই সেই মাহমুদউল্লাহতেই আস্থা রাখতে হলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে। এ ক্ষেত্রে ভাগ্যও যেন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের পক্ষে। তাকে সরিয়ে যে নুরুল হাসান সোহানকে নেতৃত্বে বসানো হলো, সেই সোহানের ইনজুরিতেই দলের দুঃসময়ে ফিরলেন মাহমুদউল্লাহ। তবে মঙ্গলবার (২ আগস্ট) হারারেতে সিরিজ নির্ধারণী ফাইনালে অধিনায়কের দায়িত্বে নেই তিনি।
মাহমুদউল্লাহ স্কোয়াডে ফিরলেও অধিনায়কত্ব সামলাবেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। এই অলরাউন্ডারের নেতৃত্বেই মঙ্গলবার সিরিজের অলিখিত ফাইনালে মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল। ম্যাচটি শুরু হবে স্থানীয় সময় দুপুর ১টায়, অর্থাৎ বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায়।
সিরিজের প্রথম ম্যাচ ১৭ রানে হারের পর রোববার দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুড়ে দাঁড়ায় সফরকারীরা। দাপুটে পারফরম্যান্সে ৭ উইকেটের জয়ে সিরিজে ১-১ সমতা আনে। সে হিসেবে শেষ ম্যাচটি সিরিজ নির্ধারণী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
সোহান ইনজুরিতে পড়ায় অবধারিতভাবেই একাদশে আসবে পরিবর্তন। তবে পরিবর্তন আসতে পারে দুইটি। জিম্বাবুয়ে সফরে বর্তমান টি-টোয়েন্টি দলে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের অভাব বিবেচনায় মাহমুদউল্লাহকে ফেরানো হয়েছে। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে সোহানের জায়গায় তাকেই একাদশে দেখা যেতে পারে।
বাদ পড়তে পারেন টপ অর্ডারের দুই ব্যাটসম্যান মুনিম শাহরিয়ার আর এনামুল হক বিজয়। মুনিমের ওপেনিং পজিশন ভাবনায় এ ম্যাচে অভিষেক হতে পারে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী তরুণ ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনের। বিজয়ের জায়গায় অফ স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ ফিরতে পারেন টি-টোয়েন্টি দলে।
বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ-
লিটন দাস, পারভেজ হোসেন ইমন, নাজমুল হোসেন শান্ত, আফিফ হোসেন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোসাদ্দেক হোসেন, শেখ মেহেদী হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ, হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান।