ওবেদ ম্যাককয় একাই নিলেন ৬ উইকেট। গড়লেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড। এমন এক ম্যাচে শেষ ওভার পর্যন্ত লড়াই হলো। যে লড়াইয়ে ভারতকে হারালো ক্যারিবীয়রা।
সোমবার রাতে ‘লাগেজ সমস্যায়’ দুই ঘণ্টা দেরিতে শুরু হওয়া সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি ৫ উইকেট আর ৪ বল হাতে রেখে জিতেছে ক্যারিবীয়রা। এতে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা ফিরিয়েছে নিকোলাস পুরানের দল।
সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে টস জিতে প্রথমে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠান পুরান। প্রথম বলেই রোহিত শর্মাকে (০) সাজঘরের পথ দেখান ম্যাককয়।আরেক ওপেনার সূর্যকুমার যাদবকেও (৬ বলে ১১) ভয়ংকর হতে দেননি বাঁহাতি এই পেসার। ১৭ রানে ২ উইকেট হারায় ভারত।
মাঝে রিশাভ পান্ত ১২ বলে ২৪ রানের ছোটখাটো ঝড় তুলেছিলেন। কিন্তু দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ভারতের রান চাকা আটকে দেন ক্যারিবীয় বোলাররা। হার্দিক পান্ডিয়া (৩১ বলে ৩১) আর রবীন্দ্র জাদেজা (৩০ বলে ২৭) রান পেলেও হাত খুলে খেলতে পারেননি।
১৯তম ওভারে ৩ উইকেট শিকার করেন ম্যাককয়। আউট করেন দিনেশ কার্তিক, রবিচন্দ্রন অশ্বিন আর ভুবনেশ্বর কুমারকে। ইনিংসের ২ বল বাকি থাকতে ভারত অলআউট হয় ১৩৮ রানে।
ম্যাককয় ৪ ওভারে একটি মেইডেনসহ ১৭ রান দিয়ে নেন ৬ উইকেট। এটিই এখন টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিবীয় কোনো বোলারের সেরা ফিগার। এর আগে এই রেকর্ডটি ছিল কেমো পলের। ২০১৮ সালে মিরপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৫ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন পল।
১৩৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে তেমন কষ্ট হওয়ার কথা ছিল না ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ওপেনার ব্রেন্ডন কিং দারুণ এক ইনিংস খেলে ক্যারিবীয়দের জয়ের পথ অনেকটাই সহজ করে দেন। কিন্তু দলীয় ১০৭ রানের মাথায় ৫২ বলে ৬৮ করে কিং আভেশ খানের বলে বোল্ড হলে লড়াইয়ে ফেরে ভারত।
এরপরই স্বাগতিকদের চেপে ধরেন ভারতীয় বোলাররা। রান আটকে রেখে চাপ বাড়ান আস্তে আস্তে। শেষ ১৪ বলে দরকার পড়ে ২৬ রান। এমন সময়ে হার্দিক পান্ডিয়াকে ছক্কা মেরে চাপ কমান ডেভন থমাস।
শেষ ২ ওভারে ক্যারিবীয়দের জয়ের জন্য দরকার পড়ে ১৬ রান। ইনিংসের ১০ বল বাকি থাকতে অর্শদীপ সিং রভম্যান পাওয়েলকে (৫) বোল্ড করে দিলে ফের চাপে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ ওভারে জয়ের জন্য লাগে ১০।
আভেশ খানের হাতে বল তুলে দেন রোহিত শর্মা। কিন্তু ডানহাতি এই পেসার প্রথম বলেই দেন ‘নো’। ভারতের সব সম্ভাবনা শেষ ওই এক ডেলিভারিতেই। ফ্রি হিটে ছক্কা হাঁকান ডেভন থমাস। পরের বলে বাউন্ডারি মেরে নিশ্চিত করে ফেলেন জয়। ১৯ বলে ১ চার আর ২ ছক্কায় ৩১ রানের ইনিংস খেলে বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়েন থমাস।