‘এক চীন’ নীতিতে বিশ্বাস করে বাংলাদেশ: শাহরিয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। ফাইল ছবি

বাংলাদেশ সবসময়ই ‘এক চীন’ নীতিতে বিশ্বাস করে জানিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, আমরা চাই তাইওয়ান ইস্যুতে পরিস্থিতির যাতে অবনতি না হয়। কেননা বিশ্ব যথেষ্ট সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তাই আমাদের আহ্বান সব পক্ষ যাতে এ ইস্যুতে সংযত আচরণ করে এবং জাতিসংঘের এ সংক্রান্ত নিয়ম মেনে চলে।

বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবা‌দিকদের এসব কথা জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।

বিশ্ব এখন নতুন সংকট বইতে পারবে না মন্তব্য করে শাহরিয়ার আলম বলেন, অন্য বলয়গুলোর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক কী হবে- তা আমাদের ইস্যু। আমরা চাই না আমাদের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে কেউ পরামর্শ বা নির্দেশনা দিক। তবে চীন বাংলাদেশের একটি বন্ধু রাষ্ট্র এবং তাদের অনেক পরিকল্পনার সঙ্গে আমাদের সম্মতি আছে।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরকালে বেশ কয়েকটি চুক্তি সই হতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী ৬ আগস্ট সকালে ওয়াং ই বাংলাদেশে পৌঁছাবেন। পরদিন ৭ আগস্ট তিনি ফিরে যাবেন। ৭ আগস্ট পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন ওয়াং ই। সফরকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অনেক গভীর এবং বিস্তৃত জানিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেসব চুক্তি হতে পারে তার মধ্যে রয়েছে নতুন সহযোগিতা, বিশেষ করে দুর্যোগ ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক চুক্তি ইত্যাদি। তবে তালিকা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিবৃতিতে আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ অব্যাহতভাবে এক চীন মতাদর্শ অনুসরণ করে যাবে।

চীনের রাষ্ট্রদূতের ওই বিবৃতির কয়েক ঘণ্টা পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে বলা হয়, তাইওয়ান প্রণালিতে উদ্ভূত সংকট গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, এই ইস্যুতে কোনো পক্ষেরই এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া ঠিক হবে না, যা বিশ্বের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করে। বাংলাদেশ এক চীন নীতির প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছে এবং জাতিসংঘের সনদ ও সংলাপের মাধ্যমে সব পক্ষকে মতভেদ দূর করার আহ্বান জানাচ্ছে।

শেয়ার করুন