ব্যাংক খাতের সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ১০টি দুর্বল ব্যাংককে চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলোর সঙ্গে আলাদা আলাদা বৈঠক করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে ব্যাংকগুলোর নাম বলেননি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
আজ বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে কথা বলেন গভর্নর। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবও দেন তিনি। চার ডেপুটি গভর্নর এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিফিংয়ে ‘বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার পরিপ্রেক্ষিতে মূল্যস্ফীতি ও মুদ্রা বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ’ শীর্ষক পাওয়ার পয়েন্ট প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ হাবিবুর রহমান।
এতে বলা হয়, ব্যাংক ব্যবস্থায় অপেক্ষাকৃত দুর্বল ব্যাংকগুলোকে চিহ্নিত করতে চারটি চলকের ওপর ভিত্তি করে এ দফায় ১০টি দুর্বল ব্যাংক চিহ্নিত করা হয়েছে। চলকগুলো হচ্ছে শ্রেণিকৃত ঋণের মাত্রা, মূলধন পর্যাপ্ততা, ঋণ-আমানত অনুপাত এবং প্রভিশনের পরিমাণ।
প্রবন্ধে বলা হয়, চার চলকের ওপর ভিত্তি করে চিহ্নিত দুর্বল ব্যাংকগুলোর সমস্যা সমাধানের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক আলাদা আলাদা (ওয়ান-টু-ওয়ান) ভিত্তিতে আলোচনা শুরু করছে। এ ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো তিন বছর মেয়াদি ব্যবসায়িক পরিকল্পনা দেবে বাংলাদেশ ব্যাংককে। এরপর প্রতিটি ব্যাংকের অগ্রগতি বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পর্যবেক্ষণ করবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক আরও বলেছে, ঋণ ব্যবস্থাপনায় ব্যাংকগুলোর সিদ্ধান্তের বাস্তবায়নসংক্রান্ত বিষয়ে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহি নিশ্চিতের জন্য ঋণ পুনঃ তফসিলীকরণ ও পুনর্গঠন বিষয়ক মূল (মাস্টার) প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে যেসব শর্ত দেওয়া হয়েছে, সে অনুযায়ী ব্যাংকগুলো নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। আগে যা অনেকটা অস্বচ্ছ এবং অসমভাবে করা হতো।
দুর্বল ১০টি ব্যাংকের নাম উল্লেখ করবেন কি না, জানতে চাইলে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, নাম না বলাই ভালো। একটি ব্যাংক খারাপ হলে অন্যটির ওপর এর প্রভাব পড়ে। আমরা কোনো ব্যাংক বন্ধের পক্ষে না, আমানতকারীর টাকা যেন নিরাপদ থাকে, সেটা নিশ্চিত করতে চাই। আমরা চাই সব ব্যাংক ব্যবসা করবে, লাভ করবে এবং বাজারে টিকে থাকবে।