ফাঁসির বিনিময়ে হলেও এ সরকারের পতন চাই: ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফাইল ছবি

ফাঁসির বিনিময়ে হলেও বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের পতন চান বলে জানিয়েছেন বিএন‌পি মহাস‌চিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, পরিষ্কার করে বলছি, কোনো চক্রান্ত নয়, আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে সরাতে চাই। প্রয়োজনে ফাঁসির বিনিময়ে হলেও এ সরকারের পতন চাই।

বৃহস্পতিবার প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, গতকাল প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- তার বিরুদ্ধে নাকি আবার নতুন করে চক্রান্ত শুরু হচ্ছে তাকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য। তিনি নাকি তাদের চেনেন। আমি আজকে আপনাদের সভা থেকে পরিষ্কার করে জানতে চাই, আপনি (শেখ হা‌সিনা) দয়া করে তাদের নামগুলো উচ্চারণ করুন। কারা করছে আমরা জানতে চাই।

তিনি বলেন, এই সরকারকে সরানোর আন্দোলন কোনো চক্রান্ত নয়। আমরা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে বলতে চাই, এই ফ্যাসিবাদী কর্তৃত্ববাদী সরকারকে আমরা সরিয়ে জনগণের একটা সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই, জনগণের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। এখানে চক্রান্ত-ষড়যন্ত্রের কোনো প্রশ্নই উঠতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, তথ্যমন্ত্রী আমার ব্যাপারে বলেছেন এই চক্রান্তের কথা সবচেয়ে বেশি আমিই বলি। স্পষ্ট করে বলছি চক্রান্ত নয়, আমরা জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে সরাতে চাই। এর জন্য আপনারা আমাকে যদি ফাঁসি দিতে চান, ফাঁসি দেন।

ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কখন গণতন্ত্রের পক্ষে ছিলো? এর আগেও তারা বলেছিলো গণতন্ত্রের পক্ষে, আসলে প্রকৃতপক্ষে তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসই করে না। প্রত্যেকটা ব্যক্তি সংগঠনের তাদের এক একেকটা চরিত্র থাকে, আওয়ামী লীগের চরিত্রটাই হলো প্রতারণার চরিত্র। তারা মুখে বলবে ভালো কথা কিন্তু কাজটা করবে তার উল্টো।

বর্তমানে ডিএনএ টেস্ট করে চাকরি দেয়া হয় মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, একজন মেধাবী ছাত্র বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে এলেও সে চাকরি পাবে না। কারণ সেখানে যদি ন্যুনতম গন্ধ থাকে যে সে আওয়ামী লীগের পক্ষের লোক নয় বা বিরোধীদলের কারও আত্মীয়-স্বজন। ডিএনএ টেস্ট করে এখন তারা চাকরি দেবে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ওইখানেই সবচেয়ে বড় অপরাধী যে আমাদের সমস্ত আশা আকাঙ্খা, আমাদের যে অর্জন ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে সে অর্জনগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আমাদের প্রতিটি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বিচার বিভাগ ধ্বংস করেছে, প্রশাসনকে ধ্বংস করে দিয়েছে।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রা‌খেন প্রেসক্লা‌বের সা‌বেক সভাপ‌তি শওকত মাহমুদ, সাংবা‌দিক নেতা রুহুল আ‌মিন গা‌জি, প্রেসক্লা‌বের সাধারণ সম্পাদক ই‌লিয়াছ খান প্রমুখ।

শেয়ার করুন