ইউরিয়া সারের দাম কেজিপ্রতি ছয় টাকা বাড়নোকে কেন্দ্র করে কেউ সংকট তৈরি করলে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। সারের দাম বাড়ানো নিয়ে বিএনপিসহ বাম দলগুলোর উদ্বেগ নির্লজ্জতার প্রমাণ বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) সচিবালয়ে সারের দাম বৃদ্ধি, মজুতসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
সারের দাম বাড়ার পরও কৃষকের উৎপাদন খরচ বাড়বে না দাবি করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ইউরিয়ার দাম বৃদ্ধি ফসল উৎপাদনেও নেতিবাচক প্রভাবে পড়বে না।
তিনি বলেন, ইউরিয়া সারের ব্যবহার যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে এবং চলমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশে ডিলার পর্যায়ে ইউরিয়া সারের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য প্রতি কেজি ১৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ টাকা এবং কৃষক পর্যায়ে প্রতি কেজি ১৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২২ টাকা পূর্ননির্ধারণ করেছে সরকার। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি কেজি ইউরিয়ার সারের বর্তমান দাম ৮১ টাকা। এর ফলে ৬ টাকা দাম বৃদ্ধির পরও সরকারকে প্রতি কেজিতে ৫৯ টাকা ভর্তুকি দিতে হবে। ২০০৫-০৬ অর্থবছরে প্রতি কেজি ইউরিয়া সারের ভর্তুকি ছিল মাত্র ১৫ টাকা।
বর্তমানে দেশে সব ধরনের সারের পর্যাপ্ত মজুত আছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সারের দাম বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে দেশের কোথাও যাতে কেউ কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে না পারে- সেই ব্যাপারে আমরা নিবিড়ভাবে মনিটর করছি। কৃত্রিম সংকট তৈরির মাধ্যমে দাম বেশি নিলে সংশ্লিষ্টদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।
ইউরিয়া সারের সুষম ব্যবহার করলে কৃষকের উৎপাদন খরচ বাড়বে না বলেও মন্তব্য করেন কৃষিমন্ত্রী।
কোভিড পরিস্থিতি এবং ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে চলমান যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী সারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে জানিয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এখন ২০২০-২১ অর্থবছরের তুলনায় সারের দাম তিন থেকে চার গুণ বেশি। সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে ভর্তুকি দাঁড়িয়েছে প্রতি কেজি ইউরিয়া ৫৯ টাকা, টিএসপি ৮৬ টাকা, এমওপি ৯১ টাকা এবং ডিএপিতে ১০৭ টাকা।