বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ছিলেন সৎ, সাহসী ও দক্ষ সংগঠক। রাজনীতির পাশাপাশি শেখ কামাল দেশের ক্রীড়াঙ্গন ও সংস্কৃতি জগতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন।
আজ শুক্রবার ঢাকায় ধানমন্ডি সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ভালো ও দক্ষ সংগঠক হিসেবে শেখ কামালের ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। আবাহনী ক্রীড়াচক্র শেখ কামালের নিজের হাতে গড়া সংগঠন। শুধু রাজনৈতিক কারণে তাঁর চরিত্র হরণের অনেক অপচেষ্টা করা হয়েছে। ন্যায়ের পক্ষে তাঁর অবস্থান ছিল সুদৃঢ়।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় শেখ কামালসহ একই ক্যাম্পে ট্রেনিং করার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। তিনি একজন দক্ষ সেনা কর্মকর্তা ছিলেন। দেশ স্বাধীন হবার পর আমি খুব কাছে থেকে তাঁর সততা ও সাহসিকতা দেখেছি। তাঁর মতো নেতা এবং সাহসী সংগঠক খুব কমই দেখা যায়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ইতিহাসের নির্মম হত্যাকাণ্ডের সময় শেখ কামালকে প্রথম হত্যা করা হয়েছিল। দেশের রাজনীতি, ক্রীড়াঙ্গন এবং সংস্কৃতি জগতে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
আজ সকালে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির নেতৃত্বে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও অধীনস্ত বিভাগগুলোর প্রধান এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আবাহনী খেলার মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আলোচনাসভা শেষে শেখ কামাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আজ বিকেলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং এর অধীনস্ত বিভাগগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রীতি ফুটবল ও ভলিবল খেলায় অংশগ্রহণ করেন।